হেড লাইন: কিশোরগঞ্জে ১১ বছর বয়সী দুই ছাত্রীকে যৌনপীড়নের অভিযোগে মাদানিয়া মহিলা কওমি মাদরাসার অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দিবাগত রাতে জেলা শহরের সতাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্ত অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীর (৪৮) জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার নানশ্রী গ্রামের বাসিন্দা। ভুক্তভোগী দুজন ওই মাদরাসার ছাত্রী।
মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, ওই দুই ছাত্রী মাদরাসার আবাসিক বোডিংয়ে থেকে পড়ালেখা করেন। গত ৩ মাস যাবত ওই দুই ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতনসহ কুপ্রস্তাব দিচ্ছিল ওই অধ্যক্ষ। গেল ২৯ মে রাত ৮টার দিকে অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীর ওই দুই ছাত্রীকে তার অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে তাদের শ্লীলতাহানি করে। পরে ভুক্তভোগী দুই ছাত্রীর ডাক চিৎকার করতে থাকলে ওই অধ্যক্ষ তাদের গলায় চাপ দিয়ে ধরে। পরে ওই দুই ছাত্রী কৌশলে অফিস কক্ষ থেকে বের হয়ে বাসায় এসে তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে ঘটনাটি খুলে বলে।
এ ঘটনায় ওই দুই ছাত্রীর একজনের মা বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ যৌনপীড়ন করার অপরাধে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দিবাগত রাতে মামলা করেন। ভুক্তভোগী দুই ছাত্রীর মা বলেন, ‘বাচ্চারা কি মাদরাসায় নিরাপদ না? আমরা আল্লাহর রাস্তায় জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য সন্তানকে মাদরাসায় দিয়েছি পড়াশোনা করতে। কিন্তু মাদরাসায় আমাদের সন্তান নিরাপদ রইলো না। আল্লাহর পথে শিক্ষা দেয়ার বদলে তারা শয়তানের শিক্ষা দিতে চেয়েছে। আমাদের সন্তানদের মতো যেন অন্য কারও সন্তান এমন ঘটনার শিকার না হয়। এমন ঘটনা ঘটতে থাকলে মাদরাসায় পড়াশোনা করানোর প্রতি মানুষের আস্থা উঠে যাবে।’কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |