সারাদেশ: ভাবসাব দেখলে মনে হবে ল্যাংড়া-লুলা ও অন্ধ। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই ভিক্ষা শেষ করে অনায়াসে হাটাচলা করে চলে যাচ্ছে ভিক্ষুকদের দল। কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার পৌর এলাকা সহ বিভিন্ন বাজারে প্রায়সময় দেখা মেলে এমন সব ভিক্ষুকের। শুধু কটিয়াদী নয় জেলার বিভিন্ন স্থানে বড় হাটবাজার গুলোতে প্রধান হাটের দিন হাজির হয় এসব ভিক্ষুকরা। মানুষের সরল মনকে নানা কায়দায় প্রভাবিত করে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। নকল ভিক্ষুকদের ভীড়ে প্রকৃত অসহায়রা কোনঠাসা।
অনুসন্ধানে ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নকল ভিক্ষুকদের রয়েছে বড় নেটওয়ার্ক। তারা নিজেদের এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করেন না। এক জেলা থেকে অন্য জেলা এমনকি বিভাগ পরিবর্তন করে এরা কাজ করেন। তাদের দেওয়া হয় অভিনব কৌশল ও প্রশিক্ষণ। দেখলে মনে হবে সত্যিই এরা অন্ধ, ল্যাংড়া-লুলা প্রতিবন্ধী। এভাবেই সহজেই মানুষের চোখ এড়িয়ে টাকাপয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে। এসব দলে রয়েছে মহিলা-পুরুষ। কেউ একক ভাবে টাকা নেন না। সারাদিন যা উপার্জন করা হয় তাদের দলনেতা (সর্দার) এর সাথে থাকা বিশেষ পকেটে সংরক্ষণ করা হয়। সন্ধায় তা সবার মধ্যে ভাগ করা হয়। বাজারের রাস্তায় শরিল গড়াগড়ি করে ভিক্ষা চাওয়া হয়। বিশেষ করে মহিলাদের সামনে বেশি অভিনয় করা হয়। তাতে সহজেই ভিক্ষা বেশি পাওয়া যায়৷
নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে আহমেদ আলী (৬০) ছদ্মনাম নামে এমনি এক নকল ভিক্ষুকের সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের৷ তিনি বলেন, তাদের বাড়ি অন্য বিভাগে, জেলার একটি স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে তারা বিভিন্ন বাজারে ভিক্ষাবৃত্তি করে থাকেন। তারা ছয় সদস্যের দল। প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা ওঠে। কর্মক্ষম হওয়ার পরেও কেন ভিক্ষা করেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা দিয়ে রোজগার বেশি হয়। এতটা কষ্ট করতে হয়না। তাই এই পথ বেছে নিয়েছি।’ কটিয়াদী বাজারে ভিক্ষা করা অবস্থায় এমনি একটি দলকে টার্গেট করেন এ প্রতিবেদক৷ তিন সদস্যের দল এটি। থানার মোড় থেকে শুরু করে হাসপাতাল রোড হয়ে পুরাতন বাজারে গিয়ে তারা ভিক্ষা শেষ করেন। সেখান থেকে রিকশায় ভোগপাড়া এলাকায় চলে যান। রিকশা থেকে নেমেই স্বাভাবিক হাটাচলা শুরু করে তারা। তাদের অনুসরণ করা হয়। এক পর্যায়ে সাংবাদিক পরিচয়ে কথা বলতে চাইলে দৌড়ে এদিক-ওদিক চলে যায়।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |