হেড লাইন: সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গণহত্যার অভিযোগে মূল বিচারের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন আগামী বছরের জানুয়ারিতে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে তার এই বিচার শুরু হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল প্রসিকিউশন সূত্রে এমনই আভাস পাওয়া গেছে। শেখ হাসিনার সঙ্গে তার মন্ত্রিসভার সদস্য, পুলিশের সাবেক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, সাবেক বিচারপতি এবং সচিবও।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর একই ট্রাইব্যুনালে আসামির কাঠগড়ায় ঠাঁই হয় পতিত সরকারের হেভিওয়েট মন্ত্রী, পুলিশ, বিচারক ও সচিবের। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে চিফ প্রসিকিউটর মামলা করেন। এসব হেভিওয়েট নেতার বিচার বর্তমানে প্রি-ট্রায়াল স্টেজে অর্থাৎ মামলা প্রাথমিক তদন্ত অবস্থায় রয়েছে। সেই মামলায় পলাতক শেখ হাসিনাসহ কয়েকজন আসামি ছাড়া অনেককে ১৮ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এই তালিকায় কিছু দিনের মধ্যে যুক্ত হতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু এবং কামরুল ইসলাম। তারা বর্তমানে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। তাদের সকলের বিচার করা হবে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায়।
চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী জানুয়ারি মাসে থেকে এসব নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার ‘ট্রায়াল স্টেজ’ অর্থাৎ মামলার মূল বিচার প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও নিচ্ছে প্রসিকিউশন টিম। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে গণহত্যার অভিযোগে এই মামলাটির বিচার কাজ শেষ হতে সময় দুই থেকে তিন বছর সময় লাগতে পারে।’
সূত্র: জনকন্ঠ
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |