প্রচ্ছদ হেড লাইন হঠাৎ ‘কোটিপতি’ রেজাউলের ভরাডুবি

হঠাৎ ‘কোটিপতি’ রেজাউলের ভরাডুবি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৭ (গাবতলী ও শাজাহানপুর) আসনে নৌকার প্রার্থীর কাছে শোচনীয়ভাবে হেরেছেন আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম ওরফে বাবলু। বেসরকারি ফলাফলে নৌকার প্রার্থী মোস্তফা আলম পেয়েছেন ৯১ হাজার ২৯ ভোট এবং রেজাউল পেয়েছেন মাত্র ২ হাজার ৭টি ভোট। অথচ ২০১৮ সালে একই আসন থেকে প্রায় ২ লাখ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন তিনি।

জানা গেছে, রেজাউল করিম একসময় পত্রিকার সাংবাদিক ছিলেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করে ১৭ ভোট পেয়ে জামানত হারালেও ২০১৮ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে দাঁড়ান তিনি। কিন্তু ওই নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় ভাগ্য খুলে যায় তার। সমর্থন পান বিএনপির। শেষ পর্যন্ত ট্রাক প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৯০ হাজার ২৯৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন রেজাউল। এতেই আলাদিনের জাদুর চেরাগ হাতে পান রেজাউল। পাঁচ বছরে কোটিপতি ব্যবসায়ী বনে যান তিনি। স্ত্রীও হয়েছেন কোটিপতি।

একাদশ ও দ্বাদশ নির্বাচনে হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, পাঁচ বছর আগে রেজাউল ও তার নির্ভরশীলদের মাসিক আয় ছিল মাত্র ৪১৭ টাকা। বর্তমানে তার নিজের ও নির্ভরশীলদের মাসিক আয় ৩ লাখ ২ হাজার ২৮ টাকা। তার স্ত্রীর এক টাকাও সঞ্চয় না থাকলে ও এখন তিনি প্রায় সোয়া কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মালিক।

২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে রেজাউলের কাছে নগদ অর্থ ৩০ হাজার টাকা থাকলেও এখন তার হাতে আছে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা। স্ত্রীর আড়াই লাখ টাকা।

শুধু তাই নয়, পাঁচ বছর আগে রেজাউলের বার্ষিক আয় ৫ হাজার টাকা থাকলেও এখন তার নিজের ও নির্ভরশীলদের বার্ষিক আয় ৩৬ লাখ ২৪ হাজার ৩৩৫ টাকা। আগে পুরোনো মোটরসাইকেলে চড়লেও এখন তার আছে ১ কোটি ৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকার বিলাসবহুল দুটি গাড়ি। সংসদ সদস্য হওয়ার আগে কোনো ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্ট না থাকলেও এখন রাজধানীর অভিজাত এলাকায় এক হাজার বর্গফুটের অ্যাপার্টমেন্টের মালিক রেজাউল।

এ ছাড়া একাদশ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার আগে রেজাউলের স্ত্রীর কোনো বাড়ি না থাকলেও এখন তিনি ১ কোটি ১ লাখ টাকার একটি বাড়ির মালিক। আছে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।