প্রচ্ছদ রাজনীতি একটি গাণিতিক সমস্যা ও ভোট প্রদানের সংখ্যা

একটি গাণিতিক সমস্যা ও ভোট প্রদানের সংখ্যা

রাজনৈতিক : ঘড়ির কাঁটা তখন বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটা। ভোটগ্রহণ বন্ধ হওয়ার দেড় ঘণ্টা পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ২৮% ভোট পড়েছে।

ভোট শেষ হওয়ার একঘণ্টা আগে বেলা ৩টায় ইসি সচিব জানান যে, ভোট পড়েছে ২৭.১৫%। এটা যুক্তিসঙ্গত যে, ভোটদানের শেষ একঘণ্টায় ১% ভোট বৃদ্ধি পেতেই পারে । সে হিসাবে ২৮%-এ বৃদ্ধি যুক্তিসংগত। কিন্তু সংবাদ সম্মেলন চলাকালে একজন কর্মকর্তা জানালেন, স্যার সংখ্যাটা ৪০% হবে । সঙ্গে সঙ্গে সিইসি হাবিবুল আউয়াল বললেন, সংখ্যাটা ৪০-ও হতে পারে এর কমবেশি হতে পারে। এর মানে গত এক ঘণ্টায় এক-তৃতীয়াংশ ভোট পড়েছে। কী অবিশ্বাস্য!

ভোটের এই নৌকায় ৭ ঘণ্টায় ২৭ জন যাত্রীর বেশি পার করতে পারলো না, অথচ শেষের এক ঘণ্টায় ১৩ জন যাত্রী পার করলো ? সারাদিন কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের খরা ছিলো। ডামি লাইন ছাড়া কোথাও ভোটারের লাইন দেখা যায়নি। কোথাও পর্যবেক্ষকদের এবং সাংবাদিকদের দেখানোর জন্য ভোটের লাইনের শুটিং হতে দেখা গেছে।

সেখানে ভোটের এই সংখ্যা নিয়ে অনেকেই বিস্মিত। নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকদের ধারণা-প্রকৃত ভোটের সংখ্যা ১২%-এর বেশি হবে না।

প্রসঙ্গত; বিগত সংসদ নির্বাচনে ৮০% ভোট পড়েছিলো বলে সরকারিভাবে জানানো হয়।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।