আন্তর্জাতিক রেটিং এজেন্সি মুডিসের ঋণমান কমানোর প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের ফল পেতে আরও সময় লাগবে।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের অর্থনীতি একটি বড় রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সরকার এরই মধ্যে নানা কর্মকৌশল হাতে নিয়েছে। এসব পদক্ষেপের ইতিবাচক ফল পেতে অপেক্ষা করতে হবে। রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সমর্থন অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের গতি বাড়াবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আশা, দ্রুত ঢাকা সফর করে সার্বিক দিক মূল্যায়ন করবে মুডিস। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার পরই সরকারের নেওয়া নীতি ও উন্নয়নের সঠিক মূল্যায়নে সক্ষম হবে।
মুডিস রেটিংস গত সোমবার বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি ঋণমান কমায়। বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই ঋণমান যাচাইকারী সংস্থাটি সরকারের ইস্যুয়ার ও সিনিয়র আনসিকিউরড রেটিংস ‘বি১’ থেকে ‘বি২’-এ নামিয়ে আনে। একই সঙ্গে দেশের অর্থনীতির পূর্বাভাসে পরিবর্তন এনে স্থিতিশীল থেকে ঋণাত্মক করেছে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুডিস।
সিঙ্গাপুর থেকে প্রকাশিত ওই রেটিংস প্রতিবেদনে মুডিস জানায়, বাংলাদেশের স্বল্পমেয়াদি ইস্যুয়ার রেটিংস নট প্রাইম বা শ্রেষ্ঠ গুণসম্পন্ন নয় হিসেবে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
এই প্রতিবেদনের মাত্র দুই দিনের মাথায় আবার দেশের ছয়টি বেসরকারি ব্যাংকের ঋণমানও কমায় সংস্থাটি। গত বুধবার ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, ইস্টার্ণ ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের ঋণমান কমানোর কথা জানায় মুডিস।
বাংলাদেশের রেটিং কমানো প্রসঙ্গে সংস্থাটি বলছে, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার পর সরকার পরিবর্তনের ফলে উচ্চ রাজনৈতিক ঝুঁকি, নিম্ন প্রবৃদ্ধি সরকারের তারল্যের ঝুঁকি, বৈশ্বিক ভঙ্গুরতা এবং ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকি বাড়িয়েছে।
মুডিস আরও বলছে, চলমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং দুর্বল প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশকে ঘাটতি পূরণের জন্য স্বল্পমেয়াদি অভ্যন্তরীণ ঋণের ওপর ক্রমশ নির্ভরশীল করছে এবং এর ফলে তারল্য ঝুঁকি বাড়ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং উন্নয়ন অংশীদারদের কাছ থেকে পাওয়া ঋণের পরিমাণ বাড়লেও, গত কয়েক বছরে রিজার্ভের স্থিতিশীলতা কমায় বাহ্যিক কিছু আশঙ্কার ঝুঁকি রয়ে গেছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |