প্রচ্ছদ সারাদেশ সরে গেলেন মা, স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে চমক দেখাতে পারেন মেয়ে

সরে গেলেন মা, স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে চমক দেখাতে পারেন মেয়ে

দেশজুড়ে : সারাদেশের মতো গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনেও বইছে নির্বাচনের হাওয়া। বিভিন্ন শহর, বন্দর ও গ্রামে ঝুলছে বিভিন্ন প্রতীকের পোস্টার। শীতের সকাল, বিকাল ও রাতে টিস্টলগুলোতে চলছে চায়ের আড্ডা। কে হবেন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী তা নিয়ে চলছে কানাঘুষা। আর নির্বাচনে প্রথমবার অংশ নিয়ে তাতে চমক সৃষ্টি করেছেন নাহিদ নিহার সাগর। লড়ছেন ঢেঁকি নিয়ে।

জানা গেছে, এ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস আফরুজা বারী। পরে জাতীয় পার্টির সাথে সমঝোতা হলে কেন্দ্রীয় নির্দেশে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন তিনি। কিন্তু মা মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেও নির্বাচনে থেকে যান মেয়ে প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার সাগর।

যিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য এবং প্রস্তাবিত কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক। নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুসারে এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসেবে অংশ নিতে পারবেন দলীয় যে কেউ। নেওয়া হবে না কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা। আওয়ামী লীগের এমন গ্রিন সিগনালে নাহিদ নিগারের এখন পোয়াবারো।

উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নের যেখানেই যাচ্ছেন, সাথে থাকছেন মা আফরুজা বারী এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। আর তাতে বেশ চাঙা হয়ে উঠছেন সমর্থকরা। কাঙ্ক্ষিত প্রার্থীকে কাছে পেয়ে ঢেঁকি, ঢেঁকি বলে মুহুর্মুহু স্লোগান তুলছেন ভোটাররা। তারা বলছেন, নৌকা প্রতীক নেই কিন্তু স্বতন্ত্র হলেও আওয়ামী লীগ করেন এমন প্রার্থী তো রয়েছেন নাকি! ‘নৌকার বিকল্প এখন ঢেঁকি’ এমন মন্তব্য করতে দেখা যায় নৌকার সমর্থকদের।

এদিকে, ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন নিগারের মামা প্রয়াত মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। আর মামার আসনেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের হাতছাড়া হয়ে যাওয়া আসনটি পুনরুদ্ধার করতে চান তিনি। গড়তে চান স্বপ্নের সুন্দরগঞ্জ।

জয়ের ব্যাপরে আশাবাদ ব্যক্ত করে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার নিগার বলেন, তিস্তার ভাঙনকবলিত এ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা চরাঞ্চল। আমি যেহেতু অর্থনীতি নিয়েও পড়াশোনা করেছি এবং আমার মা একজন শিল্পপতি। তাই পরিবার ছেড়ে বাইরে যেতে যাতে না হয়, সে জন্য এলাকার উপযোগী শিল্পকারখানা গড়ে তুলে অবহেলিত এ জনপদের দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব।

রাস্তাঘাট অধিকাংশ এখনো কাঁচা। উপজেলা সদরের রাস্তাগুলোরও দশা বেহাল। মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোর মতো রাস্তাঘাটের উন্নয়নও একই পর্যায়ের বলে মনে করেন তিনি। বেকারত্বে ভুগলে তরুণরা বিপথগামী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই তাদের জন্য সুন্দরগঞ্জে একটি আইটি পার্কও করতে চান নিগার।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।