কাশ্মীরের ঘটনা নিয়ে অবস্থান জানিয়ে দিলো যুক্তরাষ্ট্র
কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর ভয়াবহ হামলার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র আবারও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিলেও, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনা প্রশমনে কোনো মধ্যস্থতা করছে কিনা—সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে সমর্থন করে এবং সন্ত্রাসের সব রূপের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। আমরা নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। এই ভয়ঙ্কর হামলার দায়ীদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।’
তবে ব্রুস স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমরা কাশ্মীর বা জম্মুর অবস্থান নিয়ে এখন কোনো অবস্থান নিচ্ছি না।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে, যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি স্থাপনে প্রস্তাব দেওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়, তখন ব্রুস সংক্ষিপ্তভাবে বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারি আগেই তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। আমি বিষয়টি আর টানতে চাই না।’
তবে তিনি এটুকু বলেন, ‘পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে, আমরা তা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’
মঙ্গলবার পেহেলগামের বাইসারান উপত্যকায় সন্দেহভাজন জঙ্গিরা পর্যটকদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যেখানে ২৬ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হন। হামলাকারীরা পালিয়ে যায় আশপাশের পাইন বনের দিকে।
ভারত দাবি করেছে, এই হামলার ‘সীমান্ত-পারাপার সম্পৃক্ততা’ রয়েছে এবং পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠী টিআরএফ (দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট) এর নাম উল্লেখ করেছে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। পাকিস্তান বরাবরের মতো এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, এটি একটি ‘অভ্যন্তরীণ ব্যর্থতা ঢাকার জন্য সাজানো নাটক’ হতে পারে।
| প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |
