
দেশের ফুটবলে বইছে সুবাতাস। বিদেশ থেকে এক ঝাঁক তারকা আসছেন। হামজা চৌধুরী এসে গেছেন। তাকে নিয়ে উন্মাদনার শেষ নেই। রেশ না কাটতে অপেক্ষা ফাহমিদুল ইসলাম আর সামিত সোমের। তাদের নিয়ে বেড় কিছুর স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এত এত ভিনদেশি, পাইপলাইন ভরপুর। প্রত্যাশার সঙ্গে চাপও কি বাড়ছে না বাফুফের? দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা সামাল দিতে পারবে হেভিওয়েট ভিনদেশিদের?
কথায় আছে, অযত্নে মরচে পড়ে রত্নেও। আমাদের ফুটবলকে এগিয়ে নিতে রত্নই আসছে, তবু শঙ্কা থেকে যায়। হামজার বেতন ধরা হয়েছে ২০০ ডলার। বাংলার মুদ্রায় ২২ হাজারের আশপাশে। ব্যাপারটা হাস্যকর যেন! হামজার মতো গ্লোবাল তারকাই যদি পান ২০০ ডলার, অন্যরা তাহলে কত?
অর্থবিত্ত না হয় থাকল একপাশে। ইউরোপের পাওয়ার প্যাক ফুটবল ছেড়ে বাংলাদেশের মন্থর ফুটবলে কতটা মানিয়ে নিতে পারবেন তারা? প্রথম ম্যাচে হামজা জাত চিনিয়েছেন। কিন্তু, এ তো লম্বা রেস। হামজা, ফাহমিদুল, সামিতরা গতিশীল ফুটবলে অভ্যস্ত। আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ, মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ—এসব বশে আনতে হয় মুহূর্তে। ভারত ম্যাচে দেখা গেছে, হামজার বাড়ানো বল গোলে পাঠাতে ব্যর্থ ফরোয়ার্ড লাইন। তার গতির কাছে ছিটকে পড়েছিল ভারতও। ফাহমিদুল-সামিত আসলে হামজা সহায়তা পাবেন, তা বলা যায় নির্দ্বিধায়।
বেলাশেষে, খেলাটা ১১ জনের। সবাই মিলে দল হয়ে সাজাতে হবে আক্রমণ, ভণ্ডুল করতে হবে প্রতিপক্ষের কৌশল। এর জন্য যে কাঠামো প্রয়োজন, ঘরোয়া ফুটবলের সেই মান কই! বাফুফে অবশ্য অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে সরব। ফুটবলের উন্নতিতে চোখ তাদের। মতিঝিল পাড়ায় বসে থেকে নয়, কর্তাব্যক্তিরা ফুটবলকে ছড়িয়ে দিতে চান মাঠ থেকে মাঠে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |