রাজনৈতিক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী, আইন-বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়ে সারা বিশ্বকে তাকে ভালোবাসার প্রমাণ দেখানোর আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের নিয়ম ছিল যখন ইলেকশন হইতো তখন এরা এলাকায় যাইতো, গিয়ে বলতো আপনারা আমাকে ভোট দেবেন, ভোট দিলে হাত তোলেন।
তারা যেই মস্তান মানুষ ভয়ে হাত তুলতো। তারপর বলতো, আপনারা হাত তুলছেন আমি ভোট পাইছি। আপনাদের আর কেন্দ্রে যাওয়া লাগবে না। সেই জামানা গত। সেই জামানা চলে গেছে। এখন আমার বক্তব্য হচ্ছে- আপনারা যদি সত্যিকারে আমাকে ভালোবাসেন, সময় এসেছে প্রমাণ করার। আমিতো বিশ্বাস করি। কিন্তু সারা বিশ্বকে প্রমাণ করা। আমি আইনমন্ত্রী।
সারা বিশ্বের ক্যামেরা ফিট কইরা রাখছে আমার উপরে। কেন আমি বলি, কোনো সাহেব নাকি কেন্দ্রে গিয়ে বলছে যত ভোট দেবে পুরস্কার পাইবে। আমি কিন্তু এমন কথা বলি নাই। লিখে দিছে তো। স্যোশাল মিডিয়া, এই মোবাইলে লিখে দিছে। আমি নাকি এই কথা বলছি। পত্রিকা আছে, এটাতে ছাপাইয়া দিছে। আচ্ছা বলেন আমি বলছি কোনোদিন।
সেজন্যই বললাম ক্যামেরাটা ধরা আছে আমার উপর। আপনারা সত্যিকারে যদি ভালোবাসেন তাহলে পরে ৭ই জানুয়ারি নির্বাচনে আপনারা কেন্দ্রে গিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে সারা বিশ্বকে দেখাইবেন যে আমরা আমাদের সন্তান আনিসুল হককে ভালোবাসি। মন্ত্রী গতকাল দুপুরে আখাউড়া উত্তর ইউনিয়নের চানপুর খেলার মাঠে তার সমর্থনে আয়োজিত এক নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন. আমাদের গণতন্ত্রে বলে জনগণ ভোটাধিকারের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। সংবিধানে বলে জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস। একটি কুচক্রী মহল এই নির্বাচন বর্জন করেছে। নির্বাচন বর্জন করেই ক্ষান্ত হয়নি তারা এখন চেষ্টা করছে মানুষকে বলার জন্যে ভোট কেন্দ্রে না যেতে। এই বিএনপি-জামায়াত যখন নির্বাচন করতো আমরা দেখেছি ভোটারবিহীন হ্যাঁ-না ভোট।
কেউ যায় নাই। আমরা দেখেছি ১৯৭৯ সালে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা ভোট। আমরা দেখেছি ১৯৮৬ সালে ওই রকম ব্যালট বাক্স ভর্তি করা। ১৯৮৮ সালেও আমরা দেখেছি ওই রকম ব্যালট বাক্স ভর্তি করা ভোট। আমরা অবশ্যই ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি দেখেছি, খালেদা জিয়া জনগণের কোনো অংশগ্রহণ ছাড়াই ওই ভোট করেছিলেন। যেহেতু জনগণের অংশীদারিত্ব ছিল না সেজন্যে দেড় মাসের মধ্যে পদত্যাগ করতে হয়।
আজকে সেই ইতিহাস বলার কারণ হচ্ছে সেই ধারাবাহিকতায় তারা যেহেতু ভোট না দিয়ে পাস করার সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে আপনাদেরকে এখন বলছে ভোট দিতে যাইয়েন না। আমি বিশ্বাস করি আপনারা আপনাদের অধিকার সম্পর্কে জ্ঞাত আছেন। আমি বিশ্বাস করি আপনারা আপনাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে চান। আমি বিশ্বাস করি আপনারা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে আপনাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। আমার বিরুদ্ধে খুউব একটা ক্যান্ডিডেট নাই।
দুইজন দাঁড়াইছে এদের আপনারা চিনেনও না মার্কা জানেনও না। তাইলে আমি পারতাম বাসায় বসে থাকতে। আমারে আপনারা এমনিই ভোট দিতেন। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মজিবুর রহমান নান্নুর সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা প্রমুখ।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |