
অপরাধ: ভালুকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করার সুবাদে প্রায় চার বছর আগে ফারুক মিয়ার (২৮) সঙ্গে এক সন্তানের জননী এক নারীর পরিচয় হয়। এরপর দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই অবস্থায় গত এক বছর ধরে বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক মেলামেশাসহ স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তারা বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করছিলেন।
এ অবস্থায় ফারুক তরুণীকে বলে তার স্বামীকে তালাক দিলে তবেই সে তাকে বিয়ে করবে। ফারুকের কথায় ওই তরুণী তার স্বামীকে গত কয়েক দিন আগে তালাক দেয়। কিন্তু এরপর থেকে ফারুক তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ওই অবস্থায় অনেক খোঁজাখুঁজির পর ফারুককে না পেয়ে বিয়ের দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে ফারুকের বাড়িতে এসে অবস্থান নেন ওই তরুণী। এদিকে তরুণী আসার পর বাড়ি থেকে কৌশলে পালিয়ে যায় ফারুক।
সরেজমিনে ফারুকের বাড়িতে অবস্থান নিতে ওই তরুণীকে পাওয়া যায়, এ প্রসঙ্গে কথা হলে ওই তরুণিসহ স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা এসব তথ্য জানান। ওই তরুণীর বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার পাইসকা ইউনিয়নের ধরচন্দ্রবাড়ি এলাকায়। অপরদিকে ফারুকের বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের সাগুলী গ্রামে। সে ওই এলাকার মো. আবু বকরের ছেলে।
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেওয়া তরুণী বলেন, ফারুক আমাকে বলেছে স্বামী-সন্তান ছেড়ে আসলে আমাকে বিয়ে করবে। আমি তার কথায় সব করেছি। এখন সে আমাকে বিয়ে না করলে আমার মরণ ছাড়া উপায় নাই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, এর আগেও আরও বেশ কয়েকবার ওই তরুণীকে ফারুক তাদের বাড়ি আসে। আমরা জানতে চাইলে ফারুক জানায় এটা তার প্রেমিকা, বিয়ে ঠিকঠাক। বাবা-মাকে দেখানোর জন্যই নিয়ে আসি।
স্থানীয়রা আরও জানান, বাড়িতে অবস্থান নেওয়ার পর থেকে তরুণীকে শারীরিক ও অমানুষিকভাবে চরম নির্যাতন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে ফারুকের বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে কথা হয় তার মা মোছা. সেলিনা আক্তারের সঙ্গে। সেলিনা বলেন, আমরা কোনো নির্যাতন করছি না। এগুলো মিথ্যা কথা। আমার ছেলে কোথায় আছে বলতে পারি না। এই মেয়ে অবিবাহিত হলে চিন্তা করে দেখতাম, বিবাহিত মেয়েকে জীবনেও আমার ঘরের বউ করব না। তবে এর আগেও ছেলের সঙ্গে ওই তরুণীর বাড়িতে আসার বিষয়টি স্বীকার করেন ফারুকে মা।
এ বিষয়ে জাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুল হক ঝন্টু বলেন, ওই মেয়ে গতকাল আমার পরিষদে এসেছিল। সবকিছু শোনার পর এবং মেয়ের কাছ থেকে কিছু প্রমাণ দেখার পর ছেলের অভিভাবকে উভয়ের বিয়ে দেওয়ার কথা বলি। কিন্তু বিবাহিত হওয়ায় এই শর্তে তারা রাজি হয়নি। পরে আমি মেয়েকে আইনের আশ্রয় নিতে বলি। এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |