প্রচ্ছদ অপরাধ ইভার ডাবল খেলার বলি সৌরভ!

ইভার ডাবল খেলার বলি সৌরভ!

অপরাধ: ছোট বেলা থেকেই সৌরভ আর ইভার মধ্যে ভাব ছিল। তাই পরিবারের লোকজন মজা করে বলতো তোমাদের বিয়ে দিবো। ঠিকই তারা যখন যৌবনে পা রাখলো তখন তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। আর এতে বাধা দেয় দুই পরিবার। বাধা ডিঙ্গিয়ে সৌরভ-ইভা পালিয়ে বিয়ে করেন। তারপর ঘটে নানা ঘটনা। ইভাকে জোর করে পাঠিয়ে দেয়া হয় কানাডা। অন্যদিকে সুযোগ বুঝে সৌরভকে নির্মমভাবে হত্যা করে ইভার বাবা।

জানা যায়, চাচাতো বোনকে বিয়ে করে ময়মনসিংহে নির্মম হত্যার শিকার ওমর ফারুক সৌরভকে নিজ বাড়ির পাশে দাফন করা হয়েছে। এর আগে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সোমবার (৩ জুন) রাতে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার তারাটি গ্রামের বাড়িতে নিহত সৌরভের লাশ নিয়ে গেলে স্বজনরা আহাজারি করেন। এ সময় তার বাড়িতে আত্মীয়সহ প্রতিবেশীরা ভিড় করতে থাকেন।

পারিবারিক সূত্র জানায়, সৌরভের পরিবার স্থায়ীভাবে ঢাকার মতিঝিলে বসবাস করে। সৌরভ গুলশানের প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তার বাবার নাম ইউসুফ আলী।

নিহত সৌরভের মা মাহমুদা আক্তার জানান ছেলেকে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন ছিল। এখন সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। ছেলেকে যারা হত্যা করেছে, তাদের আমি ফাঁসি চাই।

জানা যায়, ওমর ফারুক সৌরভ ও চাচাতো বোন ইসরাত জাহান ইভার দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ভালোবেসে বিয়ের বন্ধনেও আবদ্ধ হয়েছিলেন তারা। প্রথমে দুই পরিবারের কেউই বিষয়টি মেনে নেয়নি। তবে একপর্যায়ে সৌরভের পরিবার মেনে নিলেও ইভার পরিবার মানেনি। সৌরভকে ডিভোর্স দিতেও চাপ দেওয়া হয়। তবে সৌরভ স্ত্রীকে ছাড়া থাকতে নারাজ। উপায় না পেয়ে ইভাকে কানাডা পাঠিয়ে দেয় তার পরিবার। এরপর দুই পরিবারের দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়। এর জেরেই সৌরভ তার আপন চাচার হাতে খুন হয়েছেন বলে দাবি পরিবারের।

উল্লেখ্য, রোববার (৩ জুন) দুপুরে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার মনতলা এলাকায় ব্রিজের নিচ থেকে ওমর ফারুক সৌরভের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের দুই পা ও মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। কালো রঙের একটি লাগেজে শরীরসহ দুই পা এবং পলিথিনে খণ্ডিত মাথা মোড়ানো ছিল।

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওমর ফারুকের বাবা ইউসুফ আলী বাদী হয়ে রোববার রাতেই ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন জানান, অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারে তারা কাজ করছেন।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।