রাজনীতি: হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীকে হারিয়ে বিজয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সায়েদুল হক (ব্যারিস্টার সুমন)। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত মুখ ব্যারিস্টার সুমন ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন।
বিজয়ের পর একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন- ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জিতব, নিশ্চিত ছিলাম। তবে এত ভোট পাব, তা ভাবিনি। আমার প্রতিপক্ষ নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা তৈরির চেষ্টা করেছে। মানুষের ভালোবাসার কাছে প্রতিপক্ষ হারতে বাধ্য হয়েছে। প্রায় ৫০ বছর পর নৌকার কোনো প্রার্থী পরাজিত হলেন, এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।’
তিনি আরও বলেন- ‘আমি আওয়ামী লীগ করি। আমি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। নির্বাচনে জেতার পর আমার প্রতীক ‘ঈগল’ আর ‘নৌকা’ এক হয়ে গেছে। যারা এক হবে না, তারা নৌকার কারণে নয়, ব্যক্তিস্বার্থের জন্য এক হবে না। নৌকা আর ঈগলকে এক করাটা হয়তো খুব একটা সহজ হবে না।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন- ‘বিজয়ী হওয়ার পর আমি প্রথমেই সবাইকে বলে দিয়েছি, আমাকে যাতে ‘এমপি সাহেব’ বলে না ডাকেন। বয়সে বড়রা সুমন এবং ছোটরা ভাই বা যার যা খুশি বলে ডাকতে পারেন। আর সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার পর কোনো অনুষ্ঠানে আমাকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হলে আমার জন্য কোনো বড় চেয়ার রাখা যাবে না। আমার জন্য ১০০ টাকা খরচ করে ফুলের মালা কেনার দরকার নেই, এই টাকা দরিদ্র কাউকে দিলেই বরং আমি খুশি হব।’
দুর্নীতি নির্মূল করার বিষয়ে সুমন বলেন- ‘দুর্নীতি একেবারে নির্মূল করা সম্ভব নয়। তবে কাউকে না কাউকে তো উদ্যোগটা নিতে হবে। আমি উদ্যোগটাই নিতে চাইছি।’ ফেসবুকে লাইভ নিয়ে তিনি বলেন- ‘এখন আমি যে দায়িত্ব পালন করব, সে জায়গা থেকে আগের মতো লাইভ করা সম্ভব হবে না। তবে এখন সমস্যা দেখলে সেসব জায়গার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ফোন করেও সমস্যার সমাধান করতে পারব।’
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |