হেড লাইন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত হন মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। তবে সম্প্রতি ‘মীর মুগ্ধ নামে কেউ মারা যায়নি’ কিংবা ‘মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ একই ব্যক্তি’ দাবি করে একটি গুজব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে। এনিয়ে আবেগঘন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তার যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। গুজব ছড়ানোর আগে রটনাকারীদের নিজেদের ভাই-বোন-পরিবারের কথা চিন্তা করতে বলেছেন তিনি।
স্নিগ্ধ বলেছেন, গুজব ছড়ানো অনেক সহজ, কিন্তু যাদের ব্যাপারে ছড়ানো হচ্ছে, তাদের জীবনের ওপর দিয়ে কি যাচ্ছে, তা জড়িতরা বুঝতে পারছে না। শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা ১১টায় বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ‘শহীদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ’ কর্মসূচির আওতায় ৭৯ জন শহীদ পরিবারের সদস্যদের চেক বিতরণের জন্য আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি। স্নিগ্ধ বলেন, যারা আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন, তারা তাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছেন। কেউ তাদের কবর জিয়ারত করতে গিয়েছে কি না, কিংবা করতে যাচ্ছে কি না, এ কারণে তার আত্মত্যাগ কোনো অংশে কম হতে পারে না। তারা তাদের জীবন দিয়েছেন, এর থেকে বড় আত্মত্যাগ হতে পারে না। তাদের সম্মান সর্বোচ্চ থাকবে। বাংলাদেশের সরকারকেও নিশ্চিত করতে হবে যেন শহীদরা তাদের সম্মান ও তাদের পরিবার প্রাপ্য অধিকারটুকু পায়।
তিনি বলেন, যারা গুজব ছড়াচ্ছেন তাদেরও পরিবার আছে, তাদেরও ভাই-বোন আছে। তাই নিজের ভাই-বোন ,পরিবারের কথা চিন্তা করে গুজব ছড়াবেন। তাহলে হয়তো বুঝতে পারবেন, যাদের পরিবার নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছেন, তাদের ওপর দিয়ে কি যাচ্ছে। গুজব রটনাকারীদের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারকে আহ্বান জানিয়ে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও আরও বলেন, আমার ভাই শহীদ হয়েছে এটার জন্য যদি তার লাশের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করতে হয়, তাহলে সেটা আমার ভাইয়ের রক্তের সঙ্গে অসম্মান করা ছাড়া কিছুই হবে না। আমি বলবো, যে সকল মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, তাদের ত্যাগের মূল্য যদি না দিতে পারেন, তাহলে দয়া করে তাদের নিয়ে কথা বলবেন না।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম, বরিশালের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলাউল হাসান। উল্লেখ্য, মুগ্ধ ও সিগ্ধ একই ব্যক্তি দাবি করে সম্প্রতি ছড়ানো একটি গুজব ঘিরে তোলপাড় শুরু হয় সামাজিক যোগাযযোগমাধ্যমে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |