হেড লাইন: দেশে নৃশংসতম গণহত্যা চালিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আবারও ফুঁসে উঠেছে আপামর ছাত্র-জনতা। দিল্লিতে বসে তার বাংলাদেশ বিরোধী অপতৎপরতার প্রতিবাদে ২৪-এর বিপ্লবী ছাত্রজনতার উদ্যোগ আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় রাজধানীর ধানমন্ডি-৩২ অভিমুখে বুলডোজার মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে।
গণহত্যাকারী হাসিনার ভাষণ দেয়ার ধৃষ্টতা দেখানোর প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। ফেসবুকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা সহ হাজার হাজার নেটিজেনকে বুলডোজার মিছিলের ডাক দিতে দেখা গেছে গণঅভ্যুত্থানের মুখে হাসিনার ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার ছয় মাস পূর্ণ হলো আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি)। টানা ১৫ বছর ধরে জনগণের ওপর গুমখুন, অবর্ণনীয় দমনপীড়ন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, দুর্নীতি, লুটপাট চালায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার। সর্বশেষ গণহত্যা চালিয়েও ক্ষমতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় দলটি। আজ ৫ ফেব্রুয়ারি ছয় মাস পূর্ণ হওয়ার দিনই দিল্লি থেকে সাবেক এই স্বৈরাচার দেশের ছাত্রসমাজের উদ্দেশে একটি ভাষণ দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। আজ রাত ৯টায় দেয়া তার এই ভাষণ ঘিরে প্রতিবাদের ঝড় বইছে।
ফ্যাসিবাদের দোসরার এই ভাষণকে ‘রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের বার্তা’ হিসেবে প্রচারণা চালালেও ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ জনতা। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তক্ষয়ী অধ্যায় ও দুই হাজার মানুষের শাহাদাতের তাজা রক্ত না শুকাতেই নির্লজ্জভাবে ভাষণ দেয়ার ধৃষ্টতা দেখানোয় প্রশ্ন উঠেছে সর্বত্র। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা তুঙ্গে—কী ঘটতে যাচ্ছে আজ রাতে? এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হাসিনার ভাষণের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর ভিডিও, ডকুমেন্টারি ও ছবি প্রদর্শনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সংগঠনটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানানো হয়, তারা ঢাকার বিভিন্ন মোড়ে, বাজার ও জনবহুল স্থানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চিত্র তুলে ধরবে। একইসঙ্গে, দেশের টিভি চ্যানেলগুলোতে এ বিষয়ে বিশেষ বুলেটিন প্রচারের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহও শেখ হাসিনার ভাষণের বিষয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘হাসিনাকে বক্তব্য প্রকাশের সুযোগ দেওয়াকে বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদ-বিরোধী জনগণের বিরুদ্ধে ভারতের যুদ্ধ হিসেবে দেখি।’ অন্যদিকে, হাজারো ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা চালিয়ে দিল্লি পালিয়ে গিয়ে সেখান থেকেই শেখ হাসিনার বাংলাদেশ বিরোধী অপতৎপরতার প্রতিবাদে ২৪-এর বিপ্লবী ছাত্রজনতার উদ্যোগ আজ রাত ৯টায় ধানমন্ডি-৩২ অভিমুখে বুলডোজার মিছিল কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে লেখালেখি করছেন জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা। জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ এক পোস্টে লেখেন, আজ ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ এর ৬ মাস পূর্ণ হলো। এই ঐতিহাসিক দিনে বঙ্গের কসাই হাসিনা প্রকাশ্যে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কী দিনটাই না বেছে নিল! এখন আমাদের আবার জাগবার সময়। আসুন, এই ঐতিহাসিক দিনে সব ফ্যাসিবাদী উপাদান নির্মূল করি। সংগঠনটির যুগ্ম-সদস্য সচিব ডা. মাহমুদা মিতু ফেসবুক পোস্টে বলেন, আজকে যদি ৩২ শেষ না হয় তাহলে আমিই সব গুলারে চুড়ি কিনে দিবো। হয় ৩৬ না হয় ৩২। আরেক যুগ্ম-সদস্য সচিব রাফে সালমান রিফাত লেখেন, ‘ধানমন্ডি ৩২ এর নাম চেঞ্জ করে দেন। ফ্যাসিস্ট চত্বর বা পতিত ফ্যাসিস্ট চত্বর। বা এ জাতীয় কিছু। মানুষ আজীবন ঘৃণার সাথে স্মরণে রাখুক ফ্যাসিস্টকে।’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম বলেন, ৩২ এর সাথে সাথে সমাধি সৌধটাও হিসাবে রাখবেন আর কি মাথায়! ৬ মাসে একটা, এক বছরে আরেকটা। মুখ খুললেই বুলডোজার। প্রবাসী সাংবাদিক ইলয়িাস হোসেন কর্মসূচির ছবি পোস্ট করে এক পোস্টে লিখেছেন, আপার বক্তব্যের তালে তালে বুলডোজার চলবে। আজ রাত ৯ টায়
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |