
হেড লাইন: একটি শোক সংবাদ, একটি শোক সংবাদ… চারপাশে নিস্তব্ধতা। মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছে শোক সংবাদ, এমন এক মুহূর্তে যখন নোয়াখালীর আশেপাশের মানুষজন শোক সংবাদটি বুঝতে চেষ্টা করছে। হঠাৎ শোনা যায় জ্বালানির খোলার শব্দ, আর কিছু পরেই টেলিভিশনের পর্দায় ভেসে উঠে ওবায়দুল কাদের নামক একজন ব্যক্তি মারা গেছেন, এমন খবর। এদিকে, একই সময়ে টেলিভিশনে দেখা যায় পার্শ্ববর্তী দেশে ওবায়দ্রনাথ ঠাকুর নামক একজন ব্যক্তির মৃত্যুর খবর। এ খবরটি নিয়েই সেখানে অস্থিরতা দেখা দেয়। “ইন্না ইলাইহি রাজিউন” বলে বাংলাদেশও এবার পুরো মনোযোগ দিয়ে টেলিভিশন দেখছে, জানতে চাচ্ছে এই ওবায়দ্রনাথ ঠাকুর কে, কেন তার মৃত্যুতে পার্শ্ববর্তী দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে।
ধীরে ধীরে পরিস্থিতি পরিষ্কার হতে থাকে। একদল মানুষ বলছে, ওবায়দ্রনাথ ঠাকুর শ্মশানে যাবে, অন্যরা বলছে, তিনি আসলে বাংলাদেশী, তার নাম ওবায়দ্রনাথ নয়। এই অবস্থায়, সাংবাদিকরা ওবায়দ্রনাথের ব্যাগ, পুরনো কাপড়, এমনকি ছোট প্যান্টের পকেটও খুঁজতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা একটি আধার কার্ড পেয়ে যায়। বাংলাদেশের জনগণ তখন বুঝতে পারে যে, এর মানে কি? এখন আর বিষয়টা সোজা থাকেনি। ওবায়দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যাগে আরো একটি কার্ড পাওয়া যায়, যা দেখাচ্ছে, তিনি আসলে ওবায়দ্রনাথ নন। তাহলে, তিনি কে? এই রহস্যের মধ্যে যখন পরিস্থিতি আরো জটিল হতে থাকে, সাংবাদিকরা এবং স্থানীয় নেতারা একে একে সরে যেতে থাকে। চারপাশ আবার সুনশান হয়ে যায়। ওবায়দ্রনাথ অথবা ওবায়দুলের নিথর দেহ ঘরের কোণে পড়ে থাকে, যেন বেওয়ারিশ লাশ।
এবার আসুন মূল কথায়। এমনটা হতে পারে অদূর ভবিষ্যতে, যখন কেউ নিজের নাম বা পরিচয় পরিবর্তন করে অন্য দেশে নতুন পরিচয়ে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করবে। তবে, মৃত্যু পরবর্তীতে তাদের ভাগ্যে কী ঘটবে? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেখ হাসিনার চাচাতো ভাইয়ের দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র ভাইরাল হয়ে ওঠে। সেখানে শেখ সালাউদ্দিন, যিনি শেখ জুয়েল নামে পরিচিত, তার নাম ছিল বিধান মল্লিক এবং তার বাবার নাম ছিল শেখ আবু নাসির, তবে নতুন পরিচয়ে তার বাবা এখন মদিন্দ্রনাথ মল্লিক। যদিও এই পরিচয়পত্র দুটির সঠিকতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে, তবে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে: ভারতে যদি বসবাস করতে হয়, তাহলে কি এমন ঘটনা ঘটতে পারে?
একটু আগে, গুজব শোনা গিয়েছিল যে আওয়ামী সরকারের সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মারা গেছেন। এর ফলে সাধারণ মানুষের মনে নানা কৌতুহল তৈরি হয়েছে। যদিও এসব গুজবের সত্যতা পাওয়া যায়নি, তবে এখনও এক প্রশ্ন রয়ে গেছে—যদি ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা, কিংবা আওয়ামী লীগের কোনো মন্ত্রী, এমপি সেখানে মারা যান, তবে তাদের মৃতদেহ কোথায় যাবে? কবর, শ্মশান, অথবা ওবায়দ্রনাথদের মতো বেওয়ারিশ হয়ে ঘরের কোণে পড়ে থাকবে? এটা যেন আমাদের ভবিষ্যতের এক চিত্র হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |