অর্থনীতি: প্রযুক্তি বিশ্বে লেনদেনের বিস্ময়কর অনুষঙ্গ বিটকয়েন। যাকে ভাবা হয় ক্রিপ্টোকারেন্সির জগতে নিরাপদ বিনিয়োগ। ফলে আগ্রহ বাড়ছে অনেকের, দামও এখন আকাশ ছোঁয়া। ডিজিটাল এই মুদ্রার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোরও। লাভের আশায় যারা নিজেদের আয়ত্তেই রাখছেন বিটকয়েনের শেয়ার।
এই যেমন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান মাইক্রোস্ট্র্যাটেজি। যাদের সংগ্রহে আছে প্রায় ১৮ লাখ বিটকয়েন। যার মূল্য ছাড়িয়েছে ৯ বিলিয়ন ডলারের ঘর। ব্যবসায়িক বুদ্ধিমত্তা ও মোবাইল সফটওয়্যার কেন্দ্রিক এই ফার্মটি বিট কয়েন কেনা শুরু করে ২০২০ সালে। মাত্র ৪ বছরেই যারা টেক্কা দিচ্ছে রেসে থাকা অন্য শেয়ারহোল্ডারদের। গত বছর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার বেড়েছে ৩৫০ শতাংশের বেশি।
তালিকায় পরের অবস্থানেই গ্যালাক্সি কিনেছে ১৭ হাজার শেয়ার। যাদের দাম দাঁড়ায় ৯০০ মিলিয়নেরও বেশি ডলার। আর ৭০০রও বেশি মিলিয়ন ডলারের মালিক ম্যারাথন ডিজিটাল, যাদের শেয়ারের সংখ্যা ১৩ হাজার।
নতুন নিয়ন্ত্রিত ইটিএফগুলোর চাহিদা বাড়ায় এখন জমজমাট বিটকয়েনের বাজার। সবমিলিয়ে যার মার্কেট ক্যাপিটাল এখন প্রায় দেড় ট্রিলিয়ন ডলার। আগের সব রেকর্ড ভেঙে বিটকয়েনের দাম এখন আকাশ ছোঁয়া। বাজার ধ্বসে যেতে সময় খুব একটা সময় লাগে না জেনেও লাভের অংক বেশি হওয়ায় সবার আগ্রহে বিটকয়েন। আর এটাই হয়তো অর্থনীতির জুয়া।
কোভিড-১৯ মহামারির সময় বিটকয়েনের দাম বাড়লেও ২০২২ সালে মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভসহ বিশ্বের অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদহার বৃদ্ধি করে। এর জেরে বিটকয়েনে বিনিয়োগকারীদের মূলধন কমে যায়; একই সময়ে ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ এফটিএক্স ধসে পড়ে। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের কয়েকটি ব্যাংক ধসে পড়ায় বিটকয়েনসহ ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের এপ্রিলে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বলেছিল, ২০২৪ সালের শেষ দিকে বিটকয়েনের দাম এক লাখ ডলার স্পর্শ করতে পারে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |