প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ আ.লীগে যোগ দিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি আবুল কাশেমের

আ.লীগে যোগ দিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি আবুল কাশেমের

আজকের সেরা সংবাদ: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বর্জনের আহ্বান-সংবলিত লিফলেটসহ সাবেক এক বিএনপি নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের মীরগাং গ্রামের বাড়ি থেকে আবুল কাশেম মোড়ল নামে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তবে পরিবার বলছে, তিনি বছর পাঁচেক আগে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। কয়েকজন বিএনপি নেতা বুধবার বাড়িতে এলে সৌজন্যবশত নাশতা করিয়েছিলেন। পরে পুলিশ আসার সংবাদ পেয়ে তারা সটকে পড়েন। এ সময় লিফলেট ফেলে যান।

আবুল কাশেম মোড়লকে নিয়মিত মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে শ্যামনগর থানা পুলিশ। তিনি উপজেলা কমিটির সহসভাপতি পদে ছিলেন। দায়িত্ব পালন করেছেন মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবেও। তবে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই মাস আগে কয়েকজন বিএনপি নেতাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই ও বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিনের হাতে ফুল দিয়ে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স. ম. আবদুস সাত্তার বলেন, কাশেম মোড়ল কোনো পদে ছিলেন না। দলীয় কার্যক্রমেও সক্রিয় ছিলেন না। বুধবারের ঘটনা সম্পর্কে মন্তব্য করতে চাননি তিনি।

কাশেম মোড়লের বাড়ি মীরগাং সুন্দরবন-সংলগ্ন প্রত্যন্ত জনপদে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার সকালে ওই এলাকায় নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানানো লিফলেট বিতরণে যান বিএনপি নেতারা। তাদের মধ্যে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সোলামান কবীর ও যুবদল সভাপতি সফিকুল ইসলাম দুলুও ছিলেন। তারা কিছু লিফলেট বিতরণের পর ছবি তোলেন। সেখান থেকে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কাশেম মোড়লের বাড়ি যান। এ সময় গৃহকর্তা তাদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেন। এ তথ্য পৌঁছে যায় পুলিশের কাছে।

কাশেম মোড়লের ছেলে রাসেল মাহমুদের ভাষ্য, বিএনপির কয়েক নেতা লিফলেট বিতরণ শেষে তাদের বাড়িতে আসেন। সৌজন্য রক্ষায় তাদের সকালের নাশতা দেওয়া হয়। এরই এক পর্যায়ে পুলিশ পৌঁছে। বিএনপি নেতারা পালিয়ে গেলেও পুলিশ তাঁর বাবাকে আটক করে। এ সময় ফেলে যাওয়া লিফলেটও পুলিশ সেখান থেকে জব্দ দেখায়। শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিএনপির কয়েক নেতা প্রত্যন্ত জনপদে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানান। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ভীতি সৃষ্টির অভিযোগ আসে। সংবাদ পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। অন্যরা পালিয়ে গেলেও নির্বাচন বর্জন-সংক্রান্ত প্রচারপত্রসহ আবুল কাশেম মোড়লকে আটক করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে তাঁর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে। ফলে রাতে তাঁকে নিয়মিত মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে কাশেম মোড়লকে সাতক্ষীরা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।