প্রচ্ছদ জাতীয় আটক নয়! যে কারণে মঈন খানকে হেফাজতে নিয়েছিল পুলিশ, যা বললেন এডিসি

আটক নয়! যে কারণে মঈন খানকে হেফাজতে নিয়েছিল পুলিশ, যা বললেন এডিসি

জাতীয়: পূর্বঘোষিত বিএনপির কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচিতে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের ব্যক্তিগত শারীরিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকি ছিল। তাই পুলিশি হেফাজতে তাকে মিছিল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মির্জা সালাউদ্দিন।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় বিএনপির কালো পতাকা মিছিল পুলিশ ছত্রভঙ্গ করে মঈন খানকে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাকে আটক করা হয়নি বলে গণমাধ্যমকে জানানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। এর ঘণ্টাখানেক পরে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় মঈন খানকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তবে কি কারণে তাকে পুলিশ নিয়ে গিয়েছিল ঘটনাস্থলে থেকে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন এডিসি মির্জা সালাউদ্দিন।

মঈন খানকে আটক করা হয়নি জানিয়ে এডিসি মির্জা সালাউদ্দিন বলেন, কালো পতাকা মিছিল থেকে ৮-১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে উত্তরা পশ্চিম থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

মির্জা সালাউদ্দিন বলেন, কর্মসূচি থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানকে আটক করা হয়নি। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী তার ব্যক্তিগত শারীরিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকি ছিল। তাই তাকে পুলিশি হেফাজতে গাড়িতে করে এগিয়ে দিয়েছি তার বাসার উদ্দেশ্যে। পরে তার গাড়ি এসে তাকে নিয়ে গেছে। ড. মঈন খানকে আটক করা হয়নি।

মঈন খানের নিরাপত্তার ঝুঁকির কথা বলছেন, কিন্তু পুলিশ তাকে যেভাবে গাড়িতে তুলে নিয়ে গেছে সেটা হেনস্তার মতো দেখা গেছে উল্লেখ করে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আমার জানা মতে মঈন খানের সঙ্গে কোনও প্রকার মানহানিকর আচরণ করা হয়নি। পুলিশ সদস্য যারা ছিলেন তারা পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। সবচেয়ে বড় বিষয়ে তার ব্যক্তিগত ঝুঁকির কথা চিন্তা করে তাকে এখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা তাকে পুলিশি হেফাজতের মধ্য দিয়ে সরিয়ে দিয়েছি।

মির্জা সালাউদ্দিন বলেন, বিএনপির কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচির কোনও অনুমতি ছিল না। রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য ডিএমপি কমিশনারের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু তারা এখানে পতাকা মিছিলের জন্য কোনও প্রকার অনুমতি নেয়নি। তাই তারা এখানে বেআইনিভাবে সমাবেশ করতে চেয়েছিলেন, আমরা সেটি ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছি। এখানে থেকে বেশ কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জনগণের যান-মালের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা এটি করেছি।

কর্মসূচির অনুমতি না দেওয়ার বিষয়ে এডিসি বলেন, এটি একটি আবাসিক এলাকা। এটা এভিনিউ রোড, কিছু কমার্শিয়াল স্পেসও রয়েছে। এখানে জনমানুষের জানমালের নিরাপত্তার বিষয়ে বিবেচনা করেই কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হয়নি।

এর আগে, বিএনপি নেতা-কর্মীরা উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর কবরস্থানের সামনে সংসদ বাতিল ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত কালো পতাকা মিছিলের শুরুতেই পুলিশ তা ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানকে পুলিশ ঘেরাও করে গাড়িতে তুলে নেয়। পরে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ বেশ কয়েকজন মহিলা নেতাকর্মীকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। এছাড়াও আরও কয়েক জন নেতাকর্মীকে গাড়িতে তোলা হয়। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়নি কতজনকে আটক করা হয়েছে।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।