জাতীয়: ভারতের কলকাতায় এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের পরই নেপালে চলে যান মামলার অন্যতম আসামি সিয়াম হোসেন। সেখানে তাকে গ্রেফতার করে দেশটির পুলিশ। এরপর তাকে হস্তান্তর করা হয় ভারতের কাছে।
গ্রেফতার সিয়ামকে ভারতের কাছে হস্তান্তরের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি। যদিও ইতিমধ্যে ঘটনার বেশকিছু লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সিআইডি সূত্র বলছে— পলাতক আখতারুজ্জামান শাহিনের অধীনে চাকরি করতেন। এর জন্য তিনি প্রতিমাসে ৬০ হাজার টাকা বেতন পেতেন। শাহিনের নির্দেশেই তিনি জিহাদকে কলকাতা নিয়ে আসেন। এরপর রাজারহাটে ফ্ল্যাট ভাড়া করে রেখেছিলেন।
সিয়াম জানিয়েছেন, এমপি আনারকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র কিনেছিলেন নিউমার্কেট এলাকা থেকে। এছাড়া প্লাস্টিক ও টলি ব্যাগসহ আরও বেশকিছু জিনিস কেনা হয় সেখান থেকে।
জিজ্ঞাসাবাদে আনার হত্যা মামলার অন্যতম এই আসামি জানান, হত্যার পর এমপি আনারের মাংস কিমা করার জন্য মেশিন কিনে আনা হয়েছিল। সেগুলো কিনেছিলেন— ফয়সাল ও মুস্তাফিজ। আনারকে হত্যার পর প্রথম মাংস ও হাড় আলাদা করা হয়। তারপর ছোট ছোট টুকরো এবং কিমা করা হয়। তবে কিমা করার মেশিনটি এখন কোথায় আছে সেটা তিনি নয়, ফয়সাল জানেন।
এদিকে মাংসের টুকরো ও হাড় উদ্ধার হলেও এখন পর্যন্ত খোঁজ নেই মাথার খুলির। পাওয়া যায়নি ব্যবহার করা অস্ত্রগুলোও। সিয়াম জানিয়েছে, তারা একটি গাড়ি ভাড়া করে কৃষ্ণমাটিতে এসে টলি ব্যাগ থেকে হাড় এবং মাথার অংশ ব্যাগ তুলে খালের মধ্যে ছুঁড়ে দিয়েছিল।
যদিও কসাই জিহাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কয়েকদফায় তল্লাশি করা হয় ওই খালে। কিন্তু এখন পর্যন্ত জিহাদের দেখানো জায়গা থেকে পাওয়া যায়নি কিছুই। তবে গোয়েন্দাদের দাবি— ওই খালে আরও কয়েক দফায় তল্লাশি করা হবে। তবে এবার পুলিশ কিংবা সিআইডি নয়, তল্লাশি করবে নৌবাহিনী সদস্যরা।
অপর দিকে ভাঙড়ের সাতুলিয়া এলাকায় বাগজোলা খালে তল্লাশির সময় সিআইডি জানায়, জিহাদ যেসব জায়গার কথা বলছিল; সিয়াম বলছে ভিন্ন কথা। নতুন যেসব জায়গার কথা সিয়াম বলছে, সেখানে আপাতত তল্লাশি হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ-৪ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য আনার কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। গত ১১ মে তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। প্রথমে কলকাতার বরাহনগরে তার বন্ধু স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। এরপর স্থানীয় থানায় জিডি করেন গোপাল বিশ্বাস। তদন্ত শুরু হয় দুই দেশে। ২২ মে সকালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবর আসে— নিউটাউনের এক বাড়িতে খুন হয়েছেন এমপি আনার। এরপরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ভারতের পুলিশের বরাত দিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |