বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাত নয়টার পর শপথ গ্রহণ করেন নোবেল জয়ী এই অর্থনীতিবিদ। তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়াও শপথ বাক্য পাঠ করার সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাকি ১৬ সদস্যের মধ্যে ১৩ জন উপস্থিত ছিলেন। প্রধান উপদেষ্টার শপথের পর একসঙ্গে শপথ বাক্য পাঠ করেন উপদেষ্টারা। শপথ অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে রাজনীতিক, শিক্ষাবিদ, কূটনীতিকসহ সরকারি ও সামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে উপদেষ্টা হওয়ার প্রস্তাব পেয়েও তা ফিরিয়ে দিয়েছেন ইসলামিক ব্যক্তিত্ব শায়খ আহমাদুল্লাহ। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে নিজ ফেসবুকে এক পোস্ট দেন তিনি। পোস্টে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাফল্য কামনা করে তিনি লেখেন, ‘নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যাত্রা শুরু হলো। আমি এই সরকারের সাফল্য কামনা করছি।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সর্ব-প্রকার জুলুম, অরাজকতা, চাঁদাবাজি এবং অপশাসনের অবসান হোক, এদেশের সকল ধর্মের মানুষ ভালো ও নিরাপদ থাকুক, নতুন সরকারের কথায় ও কাজে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিশ্বাস ও মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটুক—এই প্রত্যাশা তাদের প্রতি।’
এরপর তিনি যোগ করেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আলেমদের প্রতিনিধি হিসেবে মনোনিত হলেন সিনিয়র আলেম প্রিয় মানুষ ড. আ ফ ম খালেদ হোসেন। অভিনন্দন তাকে। মহান আল্লাহ তাঁর কাজ সহজ করে দিন এবং তাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন।’
নিজের নাম প্রস্তাবের বিষয়ে এই আলেম লেখেন, ‘আমার অযোগ্যতা সত্ত্বেও আপনারা অনেকে গত দু’দিন ধরে আমার নাম প্রস্তাব করেছেন এবং আমার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন; যার উপযুক্ত আমি ছিলাম না—তাদের সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। মহান আল্লাহ আপনাদের ভালোবাসা ও সুধারণার উত্তম বিনিময় দান করুন।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |