রাজনৈতিক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদে কারা হচ্ছেন সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি—তা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে দেশব্যাপী। সংরক্ষিত ৫০টি আসনের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলার জন্য বরাদ্দ রয়েছে দুটি। এই দুই আসনের এমপি হতে অনেকেই দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।।
তবে নানা সমীকরণে চট্টগ্রামের উত্তর জেলায় এগিয়ে আছেন অ্যাডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরী। এই নারী নেত্রী করোনাকালে আইসোলেশন সেন্টার, বিভিন্ন সময় কওমি মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসেন। ফলে রাজনীতিসহ নানা কারণে উত্তর জেলা থেকে সংরক্ষিত নারী এমপির দৌড়ে জিনাত এগিয়ে আছেন।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা থেকে গতবার সংরক্ষিত নারী এমপি ছিলেন প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। এবার তিনি চট্টগ্রাম-২ আসন থেকে সরাসরি ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। তাই সেখানে রদবদল আসবে। জিনাতের বাড়ি এই উত্তর জেলার রাউজান উপজেলায়।
জিনাত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের টানা মেয়াদে যেসব উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড হয়েছে, সেসব বার্তা আমি মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। তা ছাড়া জঙ্গিবাদ দমনে মাদ্রাসাভিত্তিক বিভিন্ন কার্যক্রম, করোনাকালে মানুষের পাশে দাঁড়ানো চেষ্টা করেছি। সত্যি বলতে গুরুত্বপূর্ণ কোনো দায়িত্বে থাকলে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ বেশি থাকে। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী। যদি কখনো সুযোগ পাই, তা কাজে লাগিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করার চেষ্টা করব।
চট্টগ্রাম তো বটেই, সারা দেশে তরুণ প্রজন্মের কাছে একটি অতিপরিচিত নাম জিনাত। তিনি তাহের নাহার ফাউন্ডেশনের হয়ে ৩৫০টিরও বেশি সেমি পাকা গৃহনির্মাণ করে দিয়েছেন সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে। তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী, যিনি চট্টগ্রামের শতাধিক মাদ্রাসায় গিয়ে হাজারো শিক্ষার্থীর সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত, জয় বাংলা স্লোগান ধ্বনিত করে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের শুনিয়েছেন মহান মুক্তিযুদ্ধের গল্প। তাদের শপথ করিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার। তরুণ সংগঠক, রাজনীতিক ও আইনজীবী জিনাত এসব কারণে তরুণ প্রজন্মের অনেকের কাছেই ‘আইকন’।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও নৌকার প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করেছেন তিনি। চট্টগ্রাম বিভাগজুড়ে নৌকার প্রার্থীদের সমর্থনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিএনপি-জামায়াতের ১০০ দিনের হরতালের বর্বরতার চিত্র এবং বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘু নির্যাতনের চিত্র এবং দিন বদলের উন্নয়নের চিত্র, প্রত্যেক মানুষের কাছে তুলে ধরেন তিনি। তার এসব উদ্যোগ নৌকার পক্ষে জনমত সৃষ্টিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। ফলে আওয়ামী লীগের গ্রাম, শহর ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় মুখ হয়ে ওঠেন তিনি।
জিনাত সুচিন্তা ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সদস্য, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স ও উইমেন্স চেম্বার অ্যান্ড কমার্সের সদস্যের পাশাপাশি ফারমিন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। তার স্বামী মোহাম্মদ ইমরান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যের আওয়ামী লীগের সভাপতি। এর আগে তিনি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। এ ছাড়া তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |