নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হতে না হতেই ভাঙনের সুর শোনা যাচ্ছে জাতীয় পার্টিতে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটি ভরাডুবির জন্য শীর্ষস্থানীয় নেতাদের অসহযোগিতা ও সাংগঠনিক দুর্বলতাসহ বিভিন্ন কারণ সামনে আনছেন জাপার একাংশের নেতাকর্মীরা। এমনকি ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে দলটির শীর্ষ নেতাদের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটামও দিয়েছেন তারা।
দলীয় বিরোধীদের এই দাবির প্রেক্ষিতে জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু অবশ্য বলছেন, ‘এমন দাবি তোলার নৈতিক ও গঠনতান্ত্রিক কোনো অধিকারই তাদের নেই!’ একই সঙ্গে দলের বিদ্রোহী ওই নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে মজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ‘যেকোনো কর্মী জি এম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির বাইরে গিয়ে আরেকটা পার্টি করতে চাইলে আমরা বাধা দিতে পারি না। এই অধিকার তাদের আছে। কিন্তু জাতীয় পার্টি জি এম কাদেরের নেতৃত্বে আছে, এর ক্ষতি করার কোনো সুযোগ নেই।
এরপর তিনি বলেন, যারা ইলেকশন করেননি, মনোনয়ন পাননি তারা নির্বাচন বর্জনকারীদের পক্ষে এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। আমাদের বিতর্কিত করতে তারা এটা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে গঠনতান্ত্রিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবারের নির্বাচনে নিজেদের ভরাডুবির কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে জাপা মহাসচিব বলেন, আমরা কোনো শরিক না, জোট বা মহাজোটও না। আওয়ামী লীগ ২৬টি আসন ছাড় দিয়েছে তাদের স্বার্থে। আমাদের স্বার্থে না। ছাড় দেওয়া আসনগুলোতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা আবার জাতীয় পার্টির বিপরীতে কাজ করেছে। কাজেই একদিকে ছাড় দিয়েছে, আবার আরেক দিকে ছাড় দেয়নি। নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অর্থ, প্রশাসনের অসহযোগীতার কারণে নির্বাচনে সুবিধা করতে পারিনি, এটা সত্য।
নতুন সংসদে বিরোধী দল হিসেবে যা যা করার দরকার সব করবেন জানিয়ে চুন্নু আরও বলেন, মোহের বিষয় নেই, দলীয় আইডেন্টিটি নিয়ে আমরা আছি। জনগণের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে, দলের স্বার্থে আমরা জাতীয় সংসদে বিরোধী দল হিসেবে যা যা করার সব করবো। সেখানে কোনো আপস নেই।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |