নেত্রকোণার আটপাড়ায় মীম আক্তার (১২) ও কামরুন্নাহার (১৩) নামে দুই মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বিষয়টি জেনেছেন বলে নিশ্চিত করেন।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে আটপাড়া উপজেলা নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় তারা। তারা দুজনেই আটপাড়ার হযরত ফাতেমা (রহ.) মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রী। এদের মধ্যে মীম আক্তার উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের বরিউল আওয়ালের মেয়ে এবং কামরুন্নাহার মল্লিকপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে।
শিক্ষার্থীরা মানবপাচার ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম (ফেসবুক পেজ) বিটিএসের পাল্লায় পড়ে ঘরছাড়া হয়েছে বলে দাবি করেনিখোঁজ শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যরা জানান, পরিবারের আজান্তে স্মার্টফোনের মাধ্যমে বিটিএসের খপ্পরে পড়ে। বৃহস্পতিবার উপজেলা সদরের বিভিন্ন দোকান থেকে বিটিএসের বিভিন্ন স্টিকার সংগ্রহ করে এবং সর্বশেষ শুক্রবার বিকেলে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে তারা বের হয়ে যায়। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে রাতে আটপাড়া থানার পুলিশকে অবগত করেন।
কামরুন্নাহারে বাবা আব্দুল খালেক ও মীম আক্তারের বাবা রবিউল আউয়াল বলেন, পরিবারের অজান্তেই স্মার্টফোন ব্যবহার করে মীম আক্তার। ফোন দিয়ে মানবপাচারকারী গ্রুপ বিটিএসে আসক্ত হয়েছে। বিষয়টি আমি পরে জেনেছি। কাউকে কিছু না বলে শুক্রবার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। আমরা এখনো তাদের সন্ধান পাইনি।
শনিবার আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, দুই মাদ্রাসা ছাত্রী নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে পরিবারের সদস্যরা আমাকে জানিয়েছেন। নিখোঁজ হওয়া দুই শিক্ষার্থী দিনের বেশিরভাগ সময় অনলাইনে কাটাত। অনলাইনের বিভিন্ন এপসের মধ্যে বিটিএসে আসক্ত ছিল বলে পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন। তাদেরকে বলেছি, তারা যে মোবাইল ফোন চালাত ওই ফোনগুলো নিয়ে আসতে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার কথা বলেছি। আমরা তদন্ত করে ওই ছাত্রদের খুঁজে বের করা করার সব চেষ্টাই করব।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |