দেশে গণতন্ত্র না থাকলে সংবাদপত্রের পক্ষে স্বাধীন ভূমিকা পালন করা খুব কঠিন হয়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। মানবজমিনকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যমের বর্তমান পরিস্থিতি খুবই সংকটজনক। কারণ যখন দেশে গণতন্ত্র থাকে না, স্বৈরতন্ত্র জেঁকে বসে, তখন সংবাদপত্রের পক্ষে স্বাধীন ভূমিকা পালন করা খুব কঠিন হয়ে যায়। তারপর সংবাদপত্র মালিক যারা আছেন, তারা আবার দ্বিধাবিভক্ত। তাদের মধ্যে ঐক্য থাকলে সরকারের নিয়ন্ত্রণ, সরকারের দমননীতি সেগুলোর বিপক্ষে একটা ভালো অবস্থান করে নিতে পারতো। স্বাধীনতাকে প্রতিষ্ঠা করতে পারতো। সেটার আর সুযোগ নেই এখন। খুব খারাপ অবস্থা।
গণমাধ্যমে আস্থার সংকট রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যম গণমাধ্যমের ভূমিকা পালন করতে পারছে না। অনেক ক্ষেত্রে তাকে সরকারের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করতে হচ্ছে। সরকারের অনেক অনিয়ম-দুর্নীতি, ভোটাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা চেপে যেতে হচ্ছে।
সাধারণ মানুষ তো আর এগুলো বুঝবে না। তারা দেখবে যে, আমরা যে যন্ত্রণা ভোগ করি, কষ্ট পাই সেটা সংবাদপত্রে নেই। ফলে আস্থার সংকট তো আসবেই।
গণমাধ্যমের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আসিফ নজরুল বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় গণমাধ্যম কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। একসঙ্গে স্বৈরতন্ত্রের আইন ও যে বিধিনিষেধ আছে সেগুলোর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। ১৯৯০-এ এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। সেটার সুফলটা মনে রেখে এগিয়ে যেতে হবে। যতোটুকু সুযোগ আছে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করতে হবে। আমরা মানবজমিনকে দেখেছি- অনেক পত্রিকা সাহস করে কিছু লিখেনি, মানবজমিন সাহস করে লিখেছে। সৎ সাংবাদিকতা করেছে। মানবজমিন-এর সঙ্গে যদি আরও ৫-১০টা পত্রিকা যোগ দিতো তাহলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি কিছুটা হলেও ভিন্ন হতো। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কিছুটা হলেও প্রতিষ্ঠিত হতো।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |