প্রচ্ছদ দেশজুড়ে ‘প্রাইভেটকারে রিস্ক কম’ ধরা পড়ে বললেন গরু চোর

‘প্রাইভেটকারে রিস্ক কম’ ধরা পড়ে বললেন গরু চোর

দেশজুড়ে : প্রথমে ঠাসাঠাসি করে তোলেন গাড়িতে। এরপর মুখ আর পা বেঁধে নিয়ে পালিয়ে যান। এভাবেই প্রাইভেটকারে তুলে গরু চুরি করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ একটি চক্র। অভিযান চালিয়ে চক্রটির পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রামের পটিয়া থানা পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে দুটি গরুও।

রোববার এ তথ্য নিশ্চিত করেন পটিয়া থানার এএসআই অনুপ কুমার বিশ্বাস। এর আগে, শুক্রবার রাতে পটিয়া ও নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আবদুল মান্নান, আবু তাহের, মো. জামশেদ, মো. রাসেল ও আবুল কাশেম।

পুলিশ জানায়, গত ১৭ জানুয়ারি গরু চুরির পর থানায় জিডি হলে অভিযানে নামে পুলিশ। প্রথমে শুক্রবার রাতে পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ভেল্লাপাড়া ব্রিজ এলাকা থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাকিদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে দুটি সাদা ও লাল রঙের গরু উদ্ধার করা হয়। গরু দুটির আনুমানিক মূল্য এক লাখ ৩০ হাজার টাকা। গরু চুরিতে ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটিও উদ্ধার করা হয়।

এএসআই অনুপ কুমার বিশ্বাস বলেন, চুরির পর প্রথমে ঠাসাঠাসি করে গরুটি প্রাইভেটকারে ঢুকিয়ে নেন পাঁচ চোর। এরপর ঢোকেন তারাও। গাড়িতে কেউ গরুর গলার রশি ধরেন, কেউ ডাকাডাকি বন্ধে চেপে ধরেন মুখ। অন্যরা চেপে ধরেন পা। এভাবেই চলে গরু চুরি। এ ঘটনায় মামলার পর তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেফতারের পর চোর চক্রের একজন মো. রাসেল বলেন, ‘আমরা নানাভাবে গরু চুরি করি। তবে এভাবে করলে রিস্ক কম থাকে। কেউ জানতে পারে না গাড়ির ভেতর কি হচ্ছে।’

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।