মহান বিজয় দিবসে শেখ হাসিনাকে দেশে প্রত্যাবর্তন করতে বরগুনার একটি অজ্ঞাত স্থানে বসে আওয়ামী লীগের শপথ পাঠের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ শপথ পাঠের স্থান ও সময় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বিভিন্ন পোস্টার ও ফেস্টুনে বরগুনা জেলার বিভিন্ন উপজেলার নাম লেখা দেখা যায়। এছাড়াও ব্যানারে বিভিন্ন বিষয় লিখে বেলুন ওড়াতেও দেখা যায় ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে।
সোমবার রাতে ২ মিনিট ১০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, বরগুনার একটি অজ্ঞাত স্থানে আওয়ামী লীগের অল্পসংখ্যক নেতাকর্মী একত্রিত হয়েছেন। তাদের হাতে বেলুন ও ব্যানার। ব্যানারে লেখা ছিল, ‘শেখ হাসিনার হাত ধরে জঙ্গি জামায়াত খতম করো, মুক্তিযুদ্ধ আঁকড়ে ধরো’। এতে বরগুনা জেলা ছাড়াও কয়েকটি উপজেলার নাম উল্লেখ ছিল। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে নেতাকর্মীদের শপথ পাঠে বলা হয়, গৌরবময় মহান বিজয় দিবস ২০২৪। চারদিকে তাকিয়ে দেখি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা মেটিকুলাস প্যানে মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশকে দুর্মূল্যের জিন্দাবাদি কলঙ্কে পরিণত করার ষড়যন্ত্র চলছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ছারখার করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। এই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে আমরা মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শপথ করছি যে, জঙ্গি জামায়াত, বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস, পুলিশ জনতা খুন, লুটপাট, অবৈধ দখল, নিষ্ঠুর হামলা, গায়েবি মামলার সমুচিত জবাব দেব। গরিব-দুঃখী মেহনতি মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মৃত গৌরভকে ফিরিয়ে আনবো। জাগ্রত বিবেকবান দেশ প্রেমিকদের ঐক্য গড়ে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সফল ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবো। প্রয়োজনে নেত্রীর নির্দেশে গণতন্ত্রের যোদ্ধা হিসেবে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করবো। জয় বাংলা।’
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে বরগুনা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের কয়েকজন নেতাকে শনাক্ত করা গেছে, তারা হলেন- সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড শাহ মোহাম্মাদ ওলি উল্লাহ অলি, বরগুনা জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি তৌহিদ মোল্লা, জেলা যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবু জাফর, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান রকিব, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য সাইফুল ইসলাম সাগর, সাবেক শ্রমিক নেতা ও জেলা ছাত্রলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম পলাশ, বরগুনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক নেতা ইকবাল হোসেন।
এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বরগুনা সদর সার্কেল) মো. আবদুল হালিম বলেন, বরগুনার বিভিন্ন উপজেলায় গোপনীয়ভাবে এটা করেছে। তিন চারজন মিলে বেলুন উড়িয়েছে এরকম ভিডিও দেখেছি। তবে কোথায় বসে করেছে তা জানতে পারিনি। বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয়েছে, পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সুূুত্রঃ মানবজমিন
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |