শাফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে গুলিতে নিহত হন। গত ৪ আগস্ট রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরে প্রাণ হারান তিনি। এরপর ৫ আ্গস্ট দেশজুড়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও দেশত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। এ আন্দোলনে পানি বিতরণের সময় গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ।
আহনাফের ছোট দুই ভাইয়ের সঙ্গে একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন মুগ্ধের জমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘শহীদ আহনাফের ২টা ছোট ভাইয়ের সাথে আজ দেখা হলো। মুগ্ধ আর আহনাফ হয়তো একসাথে বসে আমাদেরকে দেখতেসে আর হাসতে হাসতে নিজেদের শান্তনা দিচ্ছে, আমরা নাই তো কি হইছে। ওরা আছে একজন আরেকজনের সাথে সারাজীবন।’
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর রোববার (১৮ আগস্ট) থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। আন্দোলন শেষে রাজধানীর বিএফ শাহীন কলেজে সব সহপাঠী ক্লাসে-পরীক্ষার টেবিলে ফিরলেও ফেরেনি আন্দোলনে বুলেটবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারানো আহনাফ। তার টেবিলটা ছিল ফাঁকা। তাঁর স্মরণে বন্ধুরা সেখানে ফুল রেখেছেন। আহনাফের শোকাহত বন্ধুরা তাদের প্রিয় সহপাঠীকে ভুলে নাই, কখনো ভুলতে পারবে না।
রাজধানীর বিএএফ শাহীন কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল আহনাফ। ২০২৫ সালে তার এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে শুরু থেকেই আহনাফ সোচ্চার ছিল। আন্দোলনে অংশ নিয়ে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেটে আহত হয়ে সে একবার বাসায় ফিরেছিল।
আহনাফের মা সাফাত সিদ্দিকী ও খালা নাজিয়া আহমেদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আন্দোলনে যেতে বাধা দিলেই আহনাফ বলত, সে সাঈদ-মুগ্ধ ভাইদের মতো সাহসী হতে চায়। তাঁদের মতো কিছু হলে তাঁরা গর্ব করে বলতে পারবেন, ‘আমরা আহনাফের মা-খালা’। শেষ পর্যন্ত আহনাফ হয়েছেও তাই।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |