জুবায়ের আহসান, মেহেদী হাসান, আলী হোসেন ও নেহাল পাল চার বন্ধু। তাদের বাড়ি জৈন্তাপুর উপজেলায়। পাশাপাশি গ্রামে হওয়ায় তারা একসঙ্গে চলাফেরা করতো। কোথাও গেলে সবাই মিলে যেত। এলাকায় তারা ভালো বন্ধু হিসেবে সবাই জানতো। সম্প্রতি জুবায়ের আহসান একটি প্রাইভেটকার কেনেন। সেই কার নিয়ে শুক্রবার রাতে জৈন্তাপুর থেকে জাফলংয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন তারা।
এরপর তারা সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের বাংলাবাজার এলাকায় পৌঁছালে প্রাইভেট কারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের খালে পড়ে উল্টে যায়। এ সময় প্রাইভেট কারের দরজা খুলে কেউ বের হতে পারেননি।
প্রথমে স্থানীয় লোকজন প্রাইভেট কার থেকে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালান। পরে উদ্ধারকাজে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের সদস্যরা যোগ দেন । এরপর হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তারা চারজনই একসঙ্গে চলাফেরা করতেন। তারা ভালো বন্ধু ছিলেন। মৃত্যুও চার বন্ধুকে আলাদা করতে পারেনি। নিহত তরুণদের মধ্যে তিনজন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে তাদের কোনো পদ ছিল না। তাদের মধ্যে নেহাল পাল সিলেট সরকারি কলেজে স্নাতক তৃতীয় বর্ষে এবং মেহেদী হাসান ও আলী হোসেন জৈন্তাপুর ডিগ্রি কলেজে পড়তেন। এ ছাড়া জুবায়ের আহসান প্রায় এক বছর আগে বিয়ে করায় তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না।
এদিকে শনিবার (২০ জানুয়ারি) বেলা দুইটার দিকে তিনজনের জানাজা জৈন্তাপুর উপজেলার রাজবাড়ি মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের পাশাপাশি দাফন করা হয়েছে। অন্যদিকে বিকেল চারটার দিকে বাড়ির পাশেই নেহাল পালের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, চারজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরে সিলেটে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |