জাতীয়: র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (অতিরিক্ত আইজিপি) একেএম শহিদুর রহমান বলেছেন, কারো নির্দেশে আর গুম-খুনে জড়াবে না বাহিনীটি। একইসঙ্গে গুম ও খুনের দায় স্বীকার করে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি র্যাবের নির্যাতনের স্বীকার হওয়া পরিবারগুলোর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের মাধ্যমে র্যাব দায়মুক্ত হতে চায়।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গুম-খুন কমিশন করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বিচারকাজ পরিচালনা করছে। আশা করবো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে র্যাবের বিরুদ্ধে প্রতিটি অভিযোগের বিচার হবে। তাহলে বাহিনীটির দায়মুক্তি সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, র্যাবের বিরুদ্ধে আয়নাঘর, গুম, খুনসহ যত ধরনের অভিযোগ ছিল তার তদন্ত করছে কমিশন, তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। র্যাবের কোনো সদস্য আইন নিজের হাতে তুলে নিলে বা অপরাধে জড়ালে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি।
গত ৫ আগস্ট অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাবের ১৬ সদস্যকে আটক করার কথা জানান বাহিনীটির মহাপরিচালক।
তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসার অভিযোগে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে আইনি ব্যবস্থা চলছে বলেও জানান তিনি। র্যাবের গঠনের পর থেকে এ পর্যন্ত বাহিনীর ৫৮ কর্মকর্তা এবং চার হাজার ২৩৫ সদস্যকে অভিযুক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালাতে যারা হুকুমদাতা বা এ সংক্রান্ত যেসব মামলা রুজু হয়েছে সেই মামলায় এ পর্যন্ত সাবেক চার মন্ত্রী, ১৭ এমপিসহ ৩৫৩ জনকে গ্রফতারের কথা জানান তিনি। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
র্যাব সৃষ্টির পর থেকে এ পর্যন্ত যারা র্যাব দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন র্যাবের এই ডিজি।
সূত্র : যুগান্তর
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |