মিডিয়া : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ জনপ্রিয় রোবাইয়াত ফাতেমা তনি। এই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে গত কয়েক বছর থেকে অনলাইন ও অফলাইনে ব্যবসা করে আসছেন তনি। পাশাপাশি নানা ইস্যুতে মন্তব্য করে আলোচনা-সমালোচনায় থাকেন তিনি।
এবার শোরুমে গুলিস্তানের কাপড় পাকিস্তানের বলে বিক্রি করে নতুন করে ব্যাপক সমালোচনায় পড়েছেন তনি। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে বিভিন্ন বাজে মন্তব্যের ঝড় বইছে।
এর আগে ভোক্তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার পুলিশ প্লাজায় সানভি’স বাই তনি শোরুমে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে ভোক্তা অধিদপ্তর দেখতে পায় পুলিশ প্লাজার শোরুমটি তনির ছবি দিয়ে ভরপুর। এর পরিপ্রেক্ষিতে শোরুমে কেন এতো তনির ছবি? কর্মচারীদের কাছে জানতে চান ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
জবাবে ওই শোরুমের কর্মচারীরা বলেন, ম্যাডামের (তনী) ছবিগুলো ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঝুলানো হয়েছিল, সামনে কুরাবানির ঈদ এজন্য ম্যাডামের ছবি এখনো ঝুলানো আছে।
এদিকে তনির শোরুম অভিযান শেষে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, কয়েকজন ভোক্তার কাছে অভিযোগ পায় যে তনির শোরুমে পাকিস্তানি ড্রেস (পোশাক) অনলাইনে বিক্রি করে কিন্তু তারা ডেলিভারি দেওয়ার সময় দেশি ড্রেস দেয়। সেগুলো পাকিস্তানি নামে বিক্রি করে আসছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নোটিশ জারি করা হয় শুনানির জন্য, তবে তিনি আসেননি।
তাই আমরা অভিযানে আসতে বাধ্য হয়েছি। তবে অভিযানে তারা কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। ফলে শোরুমটি সিলগালা করে দিয়েছি। এরপর পোশাক আমদানির কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলেছি।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর থেকে অনলাইনে পোশাক বিক্রির ব্যবসা শুরু করেন তনি। এর কিছু দিনের মধ্যে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি কাপড়ের শোরুম গড়েন তিনি।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |