থাইল্যান্ডের রাজপরিবারের সমালোচনা করায় দেশটির এক নাগরিককে ৫০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম সিএনএন জানায়, বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাজপরিবার সমালোচনা বা অবমাননা করার কারণে এ যাবতকালের মধ্যে এটি সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী সাজা।
খবরে বলা হয়, গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে থাইল্যান্ডে এ বিতর্কিত আইনের ব্যবহার বাড়ানোর মধ্যে এ মামলার বেশ কয়েক বছর পর রেকর্ড ভঙ্গ করে এ সাজা দেয়া হলো। সমালোচকরা বলছেন, এটি ভিন্নমতাবলম্বীদের দমনের অন্যতম একটি কৌশল।
আদালত সূত্র জানায়, থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় চিয়াং রাই নগরীর একটি আপিল আদালত ৩০ বছর বয়সী মংকোল থিরাকোট ৫০ বছরের এ সাজা দেয়। গণতন্ত্রপন্থী সাবেক এ কর্মী তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে রাজপরিবার অবমাননাকর পোস্ট দেয়ার দায়ে তাকে এ সাজা দেয়া হয়।
প্রাথমিকভাবে একটি নিম্ন ফৌজদারি আদালত তাকে ২৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। কিন্তু তার আপিল আবেদনের শুনানি চলাকালে আরো ১১টি মামলায় থিরাকোটকে দোষী সাব্যস্ত করায় তার এ রেকর্ড পরিমাণ সাজা হয়।
থাইল্যান্ডের রাজা, রানী বা উত্তরাধিকারীদের সমালোচনা করলে প্রতিটি অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
থাইল্যান্ডের ফৌজদারি কোডের ১১২ ধারা বা লেসে ম্যাজেস্ট আইনের (একজন ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপ্রধানের বিশেষকরে রাজা বা তার পরিবারকে অসম্মান) অধীনে সম্প্রতি বছরগুলোতে অনেক থাইল্যান্ডের নাগরিকদের বিরুদ্ধে বিচার করা হচ্ছে।
এরআগে, ২০২১ এই আইনের অধীনে আঞ্চন প্রিলার্ট নামে ৬৫ বছর বয়সী একজনকে ৪৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয় ২০১৪ ও ২০১৫ সালে তিনি ইউটিউব ও ফেসবুকে রাজপরিবারের সমালোচনামূলক কিছু অডিও ক্লিপ পোস্ট করেছিলেন। প্রথমে আদালত আঞ্চনকে ৮৭ বছরের সাজা দিয়েছিল, পরে অবশ্য তা অর্ধেক করে দেয় হয়।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |