মিনাহিল মালিক। যাকে এক নামেই পাকিস্তানি সবাই চেনেন। তিনি দেশটির অন্যতম জনপ্রিয় টিকটক তারকা। সামাজিক মাধ্যমে লাখ লাখ অনুসারী রয়েছে তার। সব কিছু ভালো মতোই চলছিলো। এ সময়ই মিনাহিল মালিকের একটি অশ্লীল ভিডিও অনলাইনে ফাঁস হয়ে গেলে শুরু হয় তুমুল চর্চা।
সমালোচনা ও নিন্দার পাশাপাশি মিনাহিল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেন ভক্তরা। এই পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বিতর্কের বোঝা আর বইতে না পেরে শেষ পর্যন্ত সামাজিক মাধ্যম থেকে বিদায় নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন এই টিকটক তারকা।
ফাঁস হাওয়া ওই ভিডিওটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মে এবং এর ফলে শুরু হয় ব্যাপক ট্রোলিং ও সাইবার বুলিং। ফাঁস হওয়া ভিডিওতে, মিনাহিল মালিককে একটি ঘরে এক ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা যায় বলে দাবি করছেন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা।
এছাড়াও, তার আরও কিছু আপত্তিকর ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে, যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে। সংবাদমাধ্যম ডেইলি পাকিস্তানের খবর অনুসারে, টিকটকার মিনাহিল মালিকের ব্যক্তিগত ভিডিওগুলো তিনি নিজেই ফাঁস করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন মিনাহিল মালিক। ফাঁস হওয়া ভিডিও সম্পর্কে এ টিকটক তারকা জানিয়েছেন, অনলাইনে ফাঁস হওয়া ভিডিওগুলো ভুয়া। বুধবার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে এক আবেগপূর্ণ বার্তায় তিনি তার অনুসারীদের প্রতি ভালোবাসা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, আমি অনেক চাপে ছিলাম এবং অনেক চিন্তাভাবনার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার জন্য এটা সহজ ছিল না। তবে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিদায় বলাটা আসলে কঠিন। কোনো ঝগড়া নয়, ভালোবাসা ছড়ান। আমি চলে যাচ্ছি। আপনাদের মিস করব। ভালোবাসি সবাইকে। সাবধানে থাকুন।
যদিও কিছু অনুরাগী তার এই সিদ্ধান্তে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। অনেকে তার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছেন এবং তাকে সমর্থন করেছেন। তবে, তিনি আবার ঠিক কবে নাগাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিরে আসবেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়। উল্লেখ্য, ইনস্টাগ্রামে মিনাহিল মালিকের ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |