প্রখ্যাত আলেম, বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও মুফাসসিরে কোরআন আল্লামা লুৎফর রহমান স্ট্রোকে করে এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বর্তমানে তিনি রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. আব্দুল হাইয়ের তত্ত্বাবধানে আছেন।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ওনার ছোট ছেলে আবু সালমান মোহাম্মদ আম্মার কালবেলাকে জানান, মাওলানা লুৎফুর রহমানের কয়েক দফা সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি, এখনো জ্ঞান ফিরেনি। সর্বশেষ আজ বেলা ১১টার দিকে সিটি স্ক্যান করানো হয়েছে।
হাসপাতাল থেকে জানা যায়, মাওলানা লুৎফুর রহমানের মস্তিষ্কের রক্তনালিতে বড় ব্লক ধরা পড়েছে। সেই সঙ্গে অত্যধিক তরল জমে আছে । রক্তনালি ব্লকের কারণে একপাশ নাড়তে পারছেন না, এখনো অজ্ঞান অবস্থায় আছেন। এখনো শঙ্কা কাটেনি।
চিকিৎসায় দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরা জানান, ফিডিং টিউবের মাধ্যমে তাকে খাওয়ানো হচ্ছে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকায় অক্সিজেন না নাগলেও লাইফ সাপোর্ট লাগছে। তাকে সার্বক্ষণিক নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য নিবিড় পর্যবেক্ষণ ইউনিটে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
আবু সালমান মোহাম্মদ আম্মার বলেন, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক জানিয়েছেন- ব্রেইনে মেজর স্ট্রোক হয়েছে। বর্তমানে বাম পাশ প্যারালাইজড। ডাক্তাররা নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। খুব কাছের আত্মীয়স্বজন ছাড়া আমরা কাউকে ভিতরে যেতে দিচ্ছি না। অনেকেই আসতে চাচ্ছেন দেখা করতে চাচ্ছেন।
তিনি অনুরোধ করে বলেন, কেউ কষ্ট করে হাসপাতালে আসবেন না। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে সবাইকে জানানো হবে।
এর আগে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে ১০টায় লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার নিজ বাড়িতে তিনি ব্রেনস্ট্রোক করেন মাওলানা লুৎফুর রহমান। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির লোকজন তাকে লক্ষ্মীপুর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান তিনি ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনা হয়।
প্রখ্যাত এ আলেমে আল্লামা লুৎফর রহমান একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ইসলামি বক্তা। একজন স্বনামধন্য বক্তা হিসেবে দেশে-বিদেশে তার অনেক পরিচিতি রয়েছে।
ব্যক্তিজীবনে মাওলানা লুৎফর রহমান ৫ কন্যা ও ২ ছেলের জনক। পরিবারের পক্ষ থেকে আল্লামা লুৎফর রহমানের জন্য দোয়া চেয়েছেন।
আল্লামা লুৎফর রহমান কর্মজীবনে রাজখালি আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়ন অগ্রগতিতে সর্বদা নিজেকে উৎসর্গ করেন। তিনি ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ নির্বাচনী এলাকার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |