দেশজুড়ে: বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার লবণসাড়া গ্রামে স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় হামলার ঘটনা ঘটলেও বিকালে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে লাশ ফেলে পালিয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির স্বজনরা।
নিহত বিথি সমাদ্দার লবণসাড়া গ্রামের মাদকাসক্ত সুমন রায়ের স্ত্রী। আটক সুমন বানারীপাড়া পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। তাদের সংসারে তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে। বিথি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া বাসিন্দা বাসুদেব সমাদ্দারের মেয়ে।
নিহতের মামাতো ভাই সুব্রত মল্লিক জানিয়েছেন, পাঁচ বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় সুমন শ্বশুরের কাছ থেকে টাকা আনতো। একপর্যায়ে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয়া হলে বিথির ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করে সুমন।
সর্বশেষ গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাদকের টাকা নিয়ে বিথির সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় সুমনের। এক পর্যায়ে দুই জনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় সুমন ঘরে থাকা হাতুড়ি দিয়ে বিথির মাথায় এলোপাথাড়ি আঘাত করতে থাকে। এতে মাথার ভেতরের অংশ বের হয়ে যায়। এলাকাবাসী জড়ো হয়ে দরজায় ধাক্কাধাক্কি করে। এক পর্যায়ে দরজা খোলার পর প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মেম্বার জাকির হোসেন জানিয়েছেন, প্রতিবেশীদের ডাক-চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত বিথিকে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখেন। তাৎক্ষণিক পুলিশকে কল করে বিষয়টি জানান। এর আগে সুমন ত্রিপল নাইনে ফোন দিয়ে স্ত্রীকে হত্যার বিষয়টি জানান। সেখান থেকে বানারীপাড়া থানাকে জানালে পুলিশ এসে সুমনকে আটকে থানায় নিয়ে যায়।
বানারীপাড়া থানার ওসি মাইনুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক কলহ থেকেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। সুমন ঘরে থাকা হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাতে বিথিকে হত্যা করে। এরপর বিষয়টি ৯৯৯-এ কল দিয়ে জানায়। সেখান থেকে বানারীপাড়া থানাকে জানালে পুলিশ গিয়ে সুমনকে আটকে থানায় নিয়ে আসে। সে স্বীকার করেছে সে তার স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |