মিডিয়া: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। নির্বাচনের আগে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছেন তিনি। পুরো সময়জুড়েই তার পাশে ছিলেন স্বামী রকিব সরকার। কিন্তু নির্বাচনে ভরাডুবির পর একপ্রকার লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান মাহি। গুঞ্জন উঠেছে সেসময় থেকেই নাকি স্বামীর সঙ্গেও দূরত্ব বাড়তে থাকে এই অভিনেত্রীর। একপর্যায়ে সেই দূরত্ব গিয়ে গড়ায় বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তে।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তায় হাজির হয়ে নিজের সংসার ভাঙনের খবর জানান মাহি নিজেই। অভিনেত্রী নিশ্চিত করেন, বর্তমানে স্বামী রকিব সরকারের সঙ্গে থাকছেন না তিনি। আলাদা থাকছেন দুজনে। পাশাপাশি খুব শীঘ্রই বিচ্ছেদ হচ্ছে তাদের।
গাজীপুরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী রকিব ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণবিষয়ক উপ কমিটির সদস্য। রকিবকে বিয়ে করার পর রাজনীতিতে আসা মাহি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন। বিয়ের পর স্বামীর এক জমিকে কেন্দ্র করে ডিজিটাল আইনে করা এক মামলায় কারাগারে যেতে হয়েছিল নায়িকা মাহিকে।
২০২৩ সালে গাজীপুরে রকিবের গাড়ির বিক্রয় কেন্দ্র সনিরাজ কার প্যালেসে ভাংচুর হয়েছিল। ওই জমি নিয়ে রাকিবের সঙ্গে স্থানীয় আরেক পক্ষের বিরোধ ছিলে। সেই সূত্র ধরেই সৌদি আরব থেকে ফেসবুক লাইভে এসে মাহি স্বামী রাকিব সরকারের গাড়ির শোরুমে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ করেন। তিনি ফেসবুক লাইভে বলেন, তার স্বামীর গাড়ির শো-রুম সনিরাজ কার প্যালেসের গেট ভেঙে ইসমাইল হোসেন ও মামুন সরকারের নেতৃত্বে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। এছাড়াও গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেন মাহি।
মূলত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ে ‘মিথ্যাচার’ করেছিলেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘অগ্নিকন্যা’ খ্যাত নায়িকা মাহি । আর সেই অভিযোগেই পুলিশের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যেতে হয়েছিল এই নায়িকাকে। সেই সময় মাহির পাশাপাশি স্বামী রকিব সরকারের বিরুদ্ধেও গাজীপুরের বাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে পুলিশ। পাশাপাশি জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আরেকটি মামলা করেন রকিবের প্রতিপক্ষরা।
সেই সময় গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চিত্র নায়িকা মাহিয়া পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তিনি মিথ্যা বলে মানুষের সহানুভূতি নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রকিবকে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহি। এটি মাহি ও রকিবের দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। এর আগেও ২০১৬ সালের ২৪ মে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহি। এর কয়েক বছর পরেই ২০২০ সালে মে মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে পারভেজ মাহমুদ অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা জানান মাহি।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |