দেশজুড়ে: ৪ ছেলে, ৬ মেয়ে ও তিন স্ত্রী থাকলেও কেউ ছিল না তার সঙ্গে। তাই একাই একটি ঝুপড়ি ঘরে থাকতেন সিরাজ উদ্দিন (৬৫)। গত শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে নাটোর সদর উপজেলার হালসা ইউনিয়নের হালসা গ্রামের ঐ ঝুপড়ি ঘর থেকে বৃদ্ধ সিরাজ উদ্দিনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সিরাজ উদ্দিন ঐ এলাকার মৃত সামসু মোল্লার ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, বৃদ্ধ সিরাজ উদ্দিন নির্জন বাড়িতে একাই থাকতেন। যৌবনের সময় ট্রাক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করলেও শেষ বয়সে ভিক্ষা করতেন। তিন স্ত্রী, ৪ ছেলে ও ৬ মেয়ে থাকলেও তার সাথে কেউ থাকতেন না।
হালসা বাজারের আরশেদ জানান, অধিক বিবাহের কারণে প্রথম স্ত্রী ও তার ৫ সন্তান নিয়ে ১৫ বছর আগে তাকে ছেড়ে চলে যান। দ্বিতীয় স্ত্রীও ৩ সন্তান নিয়ে ১০ বছর আগে চলে যান। আর কর্মক্ষমতা হারানোর পর ২ বছর আগে ২ সন্তান নিয়ে তাকে ছেড়ে চলে গেছেন তৃতীয় স্ত্রীও। ২ বছর ধরে একাই থাকতেন সিরাজ উদ্দিন। ভিক্ষা করে চলতেন তিনি। অসুস্থ হলে নিজেই সদর হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করতেন। গত তিনদিন ধরে তাকে দেখতে না পেয়ে স্থানীয়রা ধারণা করেছিলেন হাসপাতালে রয়েছেন তিনি। শনিবার দুপুরে এলাকাবাসী সিরাজের ঘর থেকে গন্ধ বের হওয়ায় পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
রাশিদা বেগম নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, ১০ সন্তান অথচ মৃত্যুর সময় কেউ পাশে ছিলেন না। এটা অমানবিক ঘটনা। ৩ দিন আগে মারা গেলেও কেউ টের পায়নি। এ বিষয়ে নাটোর থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অপুষ্টি ও বার্ধক্যজনিত কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করেনি বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |