প্রচ্ছদ দেশজুড়ে মেডিকেলে সুযোগ পেয়েও হননি ভর্তি, স্বপ্নপূরণ করেন পাইলট হয়ে

মেডিকেলে সুযোগ পেয়েও হননি ভর্তি, স্বপ্নপূরণ করেন পাইলট হয়ে

দেশজুড়ে : বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা জহুরুল হক বিমানঘাঁটি থেকে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়ন করে। এর কিছুক্ষণ পরই আগুন ধরে যায় বিমানটিতে।

কর্ণফুলী নদীতে ভূপাতিত হওয়ার আগেই বিমানে থাকা বৈমানিক উইং কমান্ডার সোহান ও বৈমানিক স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ প্যারাসুট দিয়ে নদীতে নামলেন। সোহান প্রাণে বাঁচলেও বাঁচানো যায়নি আসিমকে। ছয় বছর বয়সী মেয়ে, এক বছর বয়সী ছেলে, স্ত্রী ও পিতা-মাতাকে রেখে তিনি পাড়ি জমালেন পরলোকে।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ রিফাতের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামে।

বাবা মোহাম্মদ আমানউল্লাহ পেশায় চিকিৎসক এবং মা নিলুফার খানম সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।

বাবা-মায়ের কাজের সুবাদে ছোটবেলায় দেশের বিভিন্ন স্থানে থেকেছেন আসিম। সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে ২০১০ সালে তিনি যোগ দেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে।

জানা যায়, রিফাতের (আসিম জাওয়াদ) বাবা-মায়ের ইচ্ছে ছিল ছেলে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হবে। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই রিফাতের স্বপ্ন ছিল পাইলট হবে, বিমানবাহিনীতে যোগ দেবে। সরকারি মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেয়েও ভর্তি হয়নি। স্বপ্নপূরণ করেছে পাইলট হয়ে। শেষে বিমান দুর্ঘটনাতেই তার মৃত্যু হলো।

আসিমের মামা সুরুয খান বলেন, ছোটবেলা থেকেই বিমানবাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন ছিল রিফাতের। সে স্বপ্ন পূরণও হয় তার। কিন্তু সেই বিমানেই প্রাণ গেল তার।