
অপরাধ: দীর্ঘদিনের প্রেম। সেই প্রেমের জেরে তরুণীকে ফাঁদে ফেলে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন প্রেমিক ইমন। এরই মধ্যে বিষয়টি টের পেয়ে ওই তরুণীর বাবা তাকে অন্যত্র বিয়ে দেন। কিন্তু সেখানে বেশি দিন ঘর করতে দেননি ইমন। তার কথায় বিয়ের একমাস পর বিচ্ছেদ ঘটিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসেন তরুণী। ইমন তাকে বিয়ের আশ্বাস দেন। পরে বিয়ে না করায় প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন তিনি। তবে প্রেমিকা দেখে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেমিক।
ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার ধুনটে। মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেল ৫টা থেকে প্রেমিক ইমনের বাড়িতে অনশন করছেন ওই তরুণী। ইমন ধুনট উপজেলার শাকদহ গ্রামের ইউপি মেম্বার আব্দুর রশিদ বাদুলীর ছেলে। তিনি ধুনট সরকারি ডিগ্রি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
ভুক্তভোগী তরুণীর বাড়ি শেরপুর উপজেলায়। তিনি শেরপুর শহরের একটি বেসরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে ইমনের সঙ্গে ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি টের পেয়ে মেয়ের বাবা তাকে অন্যত্র বিয়ে দেন। কিন্তু সেখানে বেশিদিন ঘর করতে দেননি ইমন। তার কথায় বিয়ের একমাস পর বিচ্ছেদ ঘটিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসেন তরুণী। ইমন তাকে বিয়ের আশ্বাস দেন। পরে বিয়ে না করায় প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন তিনি। এ ঘটনার পর থেকে ইমন লাপাত্তা।
ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, ইমনের সঙ্গে আমার সাড়ে তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক। সে ফাঁদে ফেলে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছে। এখন বিয়ের কথা বলে বাড়িতে এনে নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে ইমন। তার পরিবারও এ সম্পর্ক মানতে নারাজ। এ পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই এখানে অবস্থান করছি। সে আমাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে।
পলাতক থাকায় সৌরভ হাসান ইমনের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার বাবা আব্দুর রশিদ বাদুলী বলেন, আত্মীয়তার সূত্রে মেয়েটির সঙ্গে আমার ছেলের পরিচয় থাকতে পারে। এর বেশি কিছু নয়। মেয়েটি আমার ছেলেকে ফাঁসানোর জন্য বাড়িতে এসে প্রেমের নাটক সাজিয়েছে।
ধুনট থানার ওসি সৈকত হাসান বলেন, ওই কলেজছাত্রী এখনো থানায় কোনো অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।