
সাত দফায় চলা লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হল মঙ্গলবার। তৃতীয়বারের মতো এনডিএ সরকার গঠন করতে চললেও বড় ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। এই আবহে ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রশংসা শোনা গেল আমেরিকার গলায়।
ভারতের নির্বাচনী ফল প্রকাশ হতেই এদেশের ভোট নিয়ে প্রশংসার সুর আমেরিকার গলায়। ভারতের নির্বাচনকে ‘বিশ্বের ইতিহাসে বৃহত্তম গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া’ আখ্যা দিল ওয়াশিংটন। এদিকে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার বিষয়ে অবশ্য ‘চুপ’ থাকল ওয়াশিংটন। এই নিয়ে মার্কিন স্টেট দফতরের আধিকারিক বলেন, ‘আমরা এখনও চূড়ান্ত ফলের দিকে নজর রেখে চলেছি।’
উল্লেখ্য, গতকাল ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হলে দেখা যায়, বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে এনডিএ জোট সম্মিলিত ভাবে ২৭২-এর ম্যাজিক ফিগার পার করেছে। ওদিকে ইন্ডিয়া জোট বেশ ভালো লড়াই করেছে। কংগ্রেস একাই ৯৯টি আসন পেয়েছে। সমাজবাদী পার্টি পেয়েছে ৩৭, তৃণমূল ২৯ এবং ডিএমকে ২২টি আসন। এই আবহে এনডিএ জোট শরিককে ভাঙিয়ে বিরোধীরা সরকার গঠনের চেষ্টা করবে কি না সেদিকে নজর রয়েছে অনেকেরই।
এই আবহে ভারতের নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয়েছিল মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের থেকে। এই আবহে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে আমরা ভারত সরকার, ভারতের সকল ভোটারকে এই বিশাল নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য কুর্নিশ জানাচ্ছি। আমরা চূড়ান্ত ফলাফলের দিকে নজর রাখছি।’
এদিকে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘নির্বাচনে কারা জয়ী হয়েছেন, এবং কারা হেরেছেন, তার ওপরে আমরা কোনও মন্তব্য করব না। গোটা বিশ্বেই আমরা এই নীতি নিয়েই চলি। আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, বিগত ৬ সপ্তাহ ধরে বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ভারতের মানুষ এসে ভোট দিয়েছেন এই নির্বাচনে।’
উল্লেখ্য, বিজেপি এই নির্বাচনে ২৪০টি আসন পেয়েছে। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর এই প্রথম একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল না বিজেপি। তাদের জোট সঙ্গী জেডিইউ ১২টি আসনে জয়ী হয়েছে। টিডিপি জিতেছে ১৬টি আসনে। চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপি জিতেছে ৫টি আসনে। ওদিকে শিন্ডেপন্থী শিবসেনা জয়ী হয়েছ ৭টি আসনে। এছাড়া এনসিপি ১টি, জনসেনা ২টি, ইউপিপিএল ১টি, অসম গণপরিষদ ১টি আসনে জয়ী হয়েছে। এই আবহে পরবর্তী সরকার গঠন করে তা স্থিতিশীল রাখতে শরিকদের আগলে থাকতে হবে বিজেপিকে।