প্রচ্ছদ অন্যরকম কে এই প্রিন্স মামুন, তাকে ঘিরে কেন এত বিতর্ক

কে এই প্রিন্স মামুন, তাকে ঘিরে কেন এত বিতর্ক

কিছুদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত প্রিন্স মামুন ও লায়লা। সম্প্রতি লায়লার ধর্ষণ মামলায় ‘টিকটকার’ আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় করা এ মামলায় সোমবার (১০ জুন) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রিন্স মামুন পরিচিতি পান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘টিকটক’ ও ‘লাইকি’ থেকে। মাধ্যমগুলোতে নিজের করা মিউজিক ভিডিও সেখানে পোস্ট দিতেন মামুন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকেই তার পরিচিতি এবং জনপ্রিয়তা।

একসময়ে নাচও শিখেছেন মামুন। সেই নাচের ভিডিও অনলাইনে শেয়ার দিতেন। পাশাপাশি শেয়ার দিতেন অনেক মজার ভিডিও। এতে করে তার অগণিত ভক্ত-ফলোয়ার তৈরি হয়। অনলাইন থেকে তার জনপ্রিয়তার ঢেউ এসে পড়ে অফলাইনেও। বলা যায়, বাংলাদেশে টিকটকারদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এই মামুন। তার ফলোয়ার বা অনুসারীর সংখ্যাও অগণিত। এখন তিনি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শোরুম বা দোকান উদ্বোধন করেন মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে। অন্যদিকে, প্রিন্স মামুন ও লায়লা আখতার টিকটকের আলোচিত নাম। মামুন লায়লাকে সঙ্গে করে ফেসবুক-ইউটিউবে বিনোদনভিত্তিক কন্টেন্ট বানিয়ে বরাবরই আলোচনায় ছিলেন। বয়সের ব্যবধানের পরও প্রেমের সম্পর্কের কারণেই তাদের ব্যক্তিজীবন চর্চিত। কিছুদিন আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে লায়লা জানিয়েছিলেন, তার সঙ্গে মামুনের আর কোনো সম্পর্ক নেই।

প্রিন্স মামুন এবং লায়লা

প্রিন্স মামুন এবং লায়লা

লায়লা মামুনকে নিয়ে একাধিকবার বিভিন্ন অভিযোগ করেছিলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কখনো ঝগড়া করে, কখনো মামুনের নামে টাকা নেয়ার অভিযোগ। আবার কখনো মামুনের নামে লায়লা অভিযোগ তুলেছেন শারীরিক অত্যাচারেরও। তবে এবার সব ছাপিয়ে লায়লা মামুনের নামে করলেন বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা। সেই মামলার জের ধরেই প্রিন্স মামুনের রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১১ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশিদ এ আদেশ দেন। এর আগে সোমবার (১০ জুন) রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি টোল প্লাজা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে দাউদকান্দি থানা পুলিশ। এরপর তাকে ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন ক্যান্টনমেন্ট থানার উপ-পরিদর্শক মো. শাহজাহান। গত ৯ জুন প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় ওই মামলা করেন লায়লা।

অভিযোগে লায়লা উল্লেখ করেন, ‘মামলার বিবাদী আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে আমার গত তিন বছর আগে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন আমাকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। সে আমাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন আমাকে বিয়ে করবে বলে জানায়, তাই তার কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তাকে আমার বাসায় থাকার অনুমতি দিই।’ অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকে। ওইদিন থেকে সে আমার বাসায় আমার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। মামুন আমার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করতো। তবে আমি মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয় বললে সে বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আবার আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। পরবর্তী সময়ে আমি তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আমাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।