
গতকাল মঙ্গলবার সকালে ছেলে সন্তানের মা হন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মাহবুবা নাজমিন। ফেসবুকে সন্তানের জন্য দোয়া কামনা করে স্ট্যাটাসও দিয়েছিলেন তিনি। স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, পুত্র সন্তানের মা হলাম।’ কিন্তু এই আনন্দ তার স্থায়ী হলো না। রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় নাজমিনের। একপর্যায়ে হাসপাতালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
নাজমিনের স্বামী মো. রিমন দুবাই প্রবাসী। তিন মাস আগে চাকরি নিয়ে দুবাই চলে যান রিমন। সেখানে বসে তিনিও সন্তান জন্মের আনন্দে শামিল হয়েছিলেন। ছেলের জন্মে উচ্ছ্বসিত ছিলেন। সেখান থেকেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন তিনি।
রিমন লিখেছিলেন, ‘আল্লাহ তায়লার দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া, আমাকে রাজপুত্র দান করেছেন। মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ আছেন, আলহামদুলিল্লাহ। সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।’ রিমনের এই আনন্দ স্থায়ী হয়নি। স্ত্রীকে দাফন করতে দেশে আসবেন তিনি। দেখবেন তার শিশুপুত্রকেও। তবে সেই দেখায় আর আনন্দ থাকবে না।
প্রতিশোধ নিতে গুলি চালাতে পারে বিএসএফ, মাইকিং করছে বিজিবিপ্রতিশোধ নিতে গুলি চালাতে পারে বিএসএফ, মাইকিং করছে বিজিবি
জানা যায়, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা-কদমতলি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ফেরিঘাট এলাকায় নাজমিনের শ্বশুরবাড়ি। সেখানেই গত সোমবার রাতে নাজমিনের প্রসব ব্যথা উঠলে স্বজনরা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। গতকাল মঙ্গলবার সকালে সিজারিয়ার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নাজমিনের পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। এরপর তিনি সুস্থ ছিলেন বলে জানান স্বজনেরা। তবে বিকেলের পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। রাতে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
নাজমিনের স্বজনদের দাবি, প্রসবজনিত জটিলতা থেকেই তার মৃত্যু হয়েছে। এমন কিছু ঘটবে তারা কল্পনাও করেননি। তাই এই মৃত্যু মানতেও পারছেন না কেউ।