জাতীয়: সারাদেশের মতো লক্ষ্মীপুরের ৪টি আসনের ৪৭৭টি কেন্দ্রে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮ টা থেকে এসব কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত।।
এদিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি তেমন চোখে পড়েনি। অবশ্য সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে ভোটকেন্দ্রগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য নিয়োজিত রয়েছে। ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে টহলে রয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা।
রোববার সকাল ৮ টা ১৫ মিনিটের দিকে জেলা শহরের লক্ষ্মীপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি দেখা যায়নি। এসময় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়াকে এ কেন্দ্রে দেখা যায়। তিনি এ কেন্দ্রের ভোটার।
এদিকে ৪টি আসনে ৩১ জন প্রার্থী শুরু থেকেই নির্বাচনী মাঠে ছিলেন। এরমধ্যে ৪ জানুয়ারি লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী রাকিব হোসেন (লাঙল), ৬ জানুয়ারি বিকেলে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মনছুর আহাম্মদ পাশা (ডাব) ও মুক্তিজোটের ইমাম উদ্দিন সুমন (ছড়ি) সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এরমধ্যে মনছুর লক্ষ্মীপুর-২ আসনের নৌকার প্রার্থী নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়নকে সমর্থন করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন। বাকি ২৮ জন প্রার্থী ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অন্যদিকে ভোটগ্রহণের আগে শনিবারই জেলার ৪টি আসনের ৪৭৭টি কেন্দ্রে ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছানো হয়। ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপারও পোঁছানো হয়েছে বলে জানান জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান। এরমধ্যে দুর্গম চরাঞ্চলের ৪টি কেন্দ্রে শনিবার ব্যালট পাঠানো হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, নির্বাচনকে অবাধ-সুষ্ঠু করতে পুরো জেলায় সেনাবাহিনীর ৩৪৫ জন সদস্য, ১২ প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের ৮টি টহল টিম, পুলিশ বাহিনী, কোস্টগার্ড ও আনসার সদস্যরা কাজ করছেন। এ জেলার ৪টি আসনে ১৪ লাখ ৯৬ হাজার ৯৫৬ জন ভোটার রয়েছেন।
এরমধ্যে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৯৩, লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনে ৪ লাখ ৫১ হাজার ৪২৬, লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনে ৪ লাখ ৩ হাজার ৭৪৩ ও লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনে ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৬৩৪ জন ভোটার রয়েছেন।
জেলা পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ কোনও ভোট কেন্দ্রেকেই ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন না বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তবে কিছু কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তিনি। সেসব কেন্দ্রে সকল ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান সাংবাদিকদের বলেন, ভোটকেন্দ্রে কোনও অনিয়ম করতে দেওয়া হবে না। প্রিজাইডং কর্মকর্তাকে কঠোর বার্তা দেওয়া রয়েছে। ভোটগ্রহণের প্রত্যেকটি কক্ষ তিনি পর্যবেক্ষণে থাকবেন। কোনও ঘটনা ঘটলেই আমাদেরসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |