
ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়ে বিভিন্ন ব্যাচ থেকে ক্যাডার (প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা) হওয়া অনেকের নাম বের হয়ে আসছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অভিযানে প্রশ্ন ফাঁস চক্রের গ্রেপ্তার সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে এসব নাম পাওয়া যাচ্ছে। এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাইছেন না তদন্তসংশ্লিষ্টরা।
বিসিএস প্রিলিমিনারি, লিখিতসহ গুরুত্বপূর্ণ ৩০টি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে যুক্ত এই চক্র। খোদ পিএসসির একাধিক কর্মকর্তা এসব প্রশ্ন ফাঁস করে আসছেন দীর্ঘ সময় ধরে। গত ৬ থেকে ৮ জুলাই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চক্রে জড়িত সন্দেহে ১৭ জনকে আটক করে সিআইডি। আটকের পর গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টন থানায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে মামলা করা হয় সিআইডির পক্ষ থেকে।
সাজেদুল তার সহযোগী সাখাওয়াত ও সাইমের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে চাকরিপ্রার্থী সংগ্রহ করে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় ভাড়া বাসা বা হোটেলে জড়ো করতেন। নিয়োগ পরীক্ষার দু-এক দিন আগেই সেসব জায়গায় পরীক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতেন হুবহু প্রশ্ন। গত ৫ মে পিএসসির আয়োজনে রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদে (নন-ক্যাডার) নিয়োগ পরীক্ষার জন্য গ্রেপ্তার নিয়ামুল পল্টন এবং খিলগাঁও এলাকায় বাসাভাড়া নিয়ে এভাবেই চাকরিপ্রার্থীদের প্রশ্নপত্র দিয়ে সেগুলোর সমাধান করিয়েছেন।
পিএসসির সাবেক আলোচিত-সমালোচিত গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীর কাছে একই পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তরপত্র দিয়েছেন। এ ছাড়া এই চক্রে সরাসরি জড়িত আছেন গ্রেপ্তার হওয়া পিএসসির আরেক উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর সেনানিবাসের প্রতিরক্ষা ও অর্থ বিভাগের অডিটর প্রিয়নাথ রায় এবং ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক মো. মামুনুর রশিদ। এ ছাড়া জড়িত আছেন পিএসসির পলাতক সাবেক সহকারী পরিচালক নিখিল চন্দ্র রায়। প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত বর্তমান পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গতকাল সাময়িক বরখাস্ত করেছে পিএসসি।