
অপরাধ: বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) প্রশ্ন কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িতরা জিজ্ঞাসাবাদে নতুন নতুন তথ্য দিচ্ছেন। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রে পিএসসির সাবেক ও বর্তমান একাধিক সদস্য জড়িত বলে সন্দেহ করছে সিআইডি।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা জানিয়েছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মূলহোতা সৈয়দ আবেদ আলীর প্রধান সহযোগী ছিলেন অফিস সহায়ক সাদেজুল ইসলাম। তিনি উপপরিচালক জাফর ও সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেনের মাধ্যমে প্রশ্ন পেতেন।
সাজেদুলের প্ররোচনায় জাফর ও আলমগীর পিএসসির এক ঝাড়ুদারকে দিয়ে পিএসসি সদস্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের কক্ষের ট্রাংকের তালা ভেঙে প্রশ্নপত্র বের করে নিতেন। ট্রাংকের তালা খোলার পর নতুন তালা লাগিয়ে দিতেন তারা। ওইসব প্রশ্ন আসামি সাখাওয়াত ও সাইমের মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীদের কাছে বিক্রি করতেন।
এ ছাড়া জাফরের মালিবাগে জ্যোতি কোচিং সেন্টার ও আলমগীরের মিরপুরের কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে প্রশ্ন চাকরিপ্রার্থীদের কাছে বিক্রি করতেন। সাজেদুল আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছেন, তারা ৪৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার চার সেট প্রশ্ন ও রেলওয়ের সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (নন-ক্যাডার) নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেন।
গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদের সব মোবাইল ফোন ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এতে তাদের লেনদেন, বিভিন্ন অ্যাপসে মেসেজ আদান-প্রদানের তথ্য পাওয়া যাবে। যার মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কেউ জড়িত থাকলে তাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সিআইডি কর্মকর্তারা। তারা বলেছেন, জিজ্ঞাসাবাদের গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদের বক্তব্যে অনেক ধরনের অসংগতি পাওয়া গেছে।