গণবিক্ষোভের মুখে গত সোমবার ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে সেখানে অবস্থান করছেন তিনি। ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী হওয়া হাসিনা ক্ষমতায় ছিলেন ২০২৪ সাল পর্যন্ত। এরপর বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে আরও তিনবার ক্ষমতায় এসেছেন তিনি।
তবে তার পতনটা হয়েছে আকস্মিক। সরকারি চাকরিতে থাকা কোটা সংস্কার নিয়ে শুরু হওয়া আন্দোলনে দমন-নিপীড়ন চালানোয় দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে তাকে। যা তিনি ভাবতেও পারেননি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এমন আকস্মিক পতনে শেখ হাসিনা স্তম্ভিত। এখন ভারতে আশ্রয় নিলেও অন্য কোনো দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। তবে ভারত সরকার এখনই এ ব্যাপারে কথা বলছে না। ঠিক হতে তাকে সময় দেওয়া হচ্ছে। এরপর কোন দেশে তিনি আশ্রয় নেবেন সেটি নিয়ে কথা বলা হবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, প্রাথমিক অবস্থায় হাসিনার যুক্তরাজ্যে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার তাকে আশ্রয় দিতে অপরাগতা জানিয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রও তার ভিসা বাতিল করে দিয়েছে।
শেখ হাসিনা এখন মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবে আশ্রয়ের পথ খুঁজছেন। এছাড়া ইউরোপের দেশ ফিনল্যান্ডেও যাওয়ার ব্যাপারে আলোচনা চলছে। সেখানে তার বোনের ছেলে শেখ রেহানার ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি থাকেন।
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আজ বাংলাদেশে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের অধীনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে। নতুন সরকার আজ রাতেই শপথ গ্রহণ করবেন।
সূত্র: এনডিটিভি
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |