প্রচ্ছদ হেড লাইন নিজ সন্তানকে হত্যাকারী কে এই সূচনা?

নিজ সন্তানকে হত্যাকারী কে এই সূচনা?

অপরাধ: নিজের চার বছর বয়সী শিশু সন্তানকে হত্যার পর মরদেহ একটি ব্যাগে ভরে পালানোর চেষ্টা করে শেষ রক্ষা হয়নি এক নারীর। পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন সূচনা শেঠ নামে ওই নারী। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড আলোড়ন সৃষ্টি করেছে ভারতজুড়ে। জেনে নেই নিজ সন্তানকে হত্যাকারী এ সূচনা শেঠ কে?

সূচনার লিঙ্কডইন পেজ অনুসারে, ৩৯ বছর বয়সী এ নারী স্টার্টআপ মাইন্ডফুল এআই ল্যাবের সিইও। ২০২১ সালে তিনি এআই এথিক্সে বিশ্বের প্রথম ১০০ ‘ব্রিলিয়ান্ট উইমেন’-এর মধ্যে ছিলেন। মাইন্ডফুল এআই ল্যাবের প্রতিষ্ঠাতা সূচনা নিজেই।

সূচনা শেঠ একজন এআই এথিক্স বিশেষজ্ঞ এবং ডেটা সায়েন্টিস্ট। এ ক্ষেত্রে ১২ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি বিভিন্ন স্টার্টআপ এবং ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ ল্যাবে মেশিন লার্নিং সলিউশন স্কেলিং করার ক্ষেত্রে ডেটা সায়েন্স টিমকে পরামর্শ দিয়েছেন।

গত দুবছর ধরে বার্কম্যান ক্লেইন সেন্টারে অ্যাফিলিয়েট হিসেবে কাজ করেছেন। ম্যাসাচুসেটসের বস্টনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং দায়িত্বশীল মেশিন লার্নিং-এর নীতিশাস্ত্র এবং পরিচালনায় অবদান রেখেছেন। দ্য মাইন্ডফুল এআই ল্যাব প্রতিষ্ঠার আগে সূচনা শেঠ বেঙ্গালুরুর বুমেরাং কমার্সের একজন সিনিয়র ডেটা সায়েন্টিস্ট ছিলেন।

প্রতিবেদন অনুসারে, সূচনা শেঠ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের সাথে প্লাজমা ফিজিক্সে স্পেশালাইজেশনে পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্স্ট ক্লাস সম্মান অর্জন করেন। এর আগে ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটি থেকে ফিজিক্সে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছিলেন তিনি। এদিকে গোলপার্কের রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচার থেকে সংস্কৃতে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা করেছিলেন।

মর্মান্তিক এ হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য এখনও জানা যায়নি। তবে হত্যার পেছনে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে স্বামী ভেঙ্কট রমনের সঙ্গে সূচনার সম্পর্ক বিচ্ছেদের যোগসূত্র থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।

উত্তর গোয়ার পুলিশ সুপার নিধিন ভালসান স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, তাদের (সূচনা-ভেঙ্কট দম্পতির) বিবাহবিচ্ছেদের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সূচনা পুলিশকে জানান, তার স্বামীর সঙ্গে তার সম্পর্কে টানাপোড়েন ছিল এবং আদালতের আদেশে তিনি অসন্তুষ্ট ছিলেন।

পুলিশ কর্মকর্তা নিধিন বলেন, ঘটনার সময় সূচনার স্বামী ইন্দোনেশিয়ায় ছিলেন। আমরা তাকে হত্যার বিষয়ে জানিয়েছি এবং তাকে ভারতে ফিরে আসতে বলেছি। এছাড়া প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, সন্তানকে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন ওই নারী।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।