দুনিয়া ও আখেরাতে সফলতা পেতে হলে কথায়, কাজে ও অর্থ-সম্পদ আয়-ব্যয়ে নববী আদর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। তার আদর্শ ও সুন্নত অনুসরণ প্রত্যেক মুমিনের জন্য অপরিহার্য। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো এবং রাসুলের আনুগত্য করো। আর তোমরা তোমাদের আমলসমূহ বিনষ্ট করো না। (সুরা মুহাম্মদ, আয়াত: ৩৩)
অপর আয়াতে মহান আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, ‘হে নবী আপনি তাদের বলে দিন- যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো, তাহলে আমার অনুসরণ করো, আল্লাহ তোমাদের ভালবাসবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’ (সুরা আল-ইমরান, আয়াত: ৩১)।
কাজেই পরকালে সফলকাম হতে যেমন প্রিয়নবীর আদর্শ অনুসরণ জরুরি, তেমনি জীবদ্দশায় নবীজির দেয়া নানা আদেশ-উপদেশও মেনে চলা মুমিনের কর্তব্য। বিভিন্ন হাদিসে উম্মতদের জন্য রাসুল (সা.) এর দেয়া নানা দিক-নির্দেশনার কথা বর্ণিত হয়েছে। এরমধ্যে আছে পরকালে জাহান্নাম থেকে বাঁচার নির্দেশনাও।
এ ক্ষেত্রে দুই শ্রেণির মানুষ আছে যারা কখনোই জান্নাতে যাবে না। মহান রাব্বুল আলামিন তাদের জন্য জাহান্নাম অবধারিত রেখেছেন। এ বিষয়ে একটি হাদিসে এসেছে, খাওলাহ আনসারীয়া (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.) কে বলতে শুনেছি- কিছু লোক আল্লাহ প্রদত্ত সম্পদ অন্যায়ভাবে ব্যয় করে, কেয়ামতের দিন তাদের জন্য জাহান্নাম অবধারিত। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৮৯৮)
অপর একটি হাদিসে আরেক শ্রেণির মানুষের জন্য জান্নাত হারাম করে দেয়ার বিষয়টি এসেছে। আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- যে ব্যক্তি কসমের (মিথ্যা কসম) মাধ্যমে কোনো মুসলিমের হক বিনষ্ট করে তার জন্য আল্লাহ জাহান্নাম অবধারিত করে রেখেছেন এবং জান্নাত হারাম করে রেখেছেন।
এ সময় জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রাসুল! অতি সামান্য বস্তু হলেও? জবাবে রাসুল (সা.) বলেন, আরাক গাছের (বাবলা গাছের মতো এক ধরনের কাঁটাযুক্ত গাছ) ডাল হলেও এ শাস্তি দেওয়া হবে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৫২)
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |