প্রচ্ছদ বিনোদন গর্ভাবস্থায় কত মাস পর্যন্ত সহবাস করা উচিত? জেনে রাখুন

গর্ভাবস্থায় কত মাস পর্যন্ত সহবাস করা উচিত? জেনে রাখুন

আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের মাঝে অরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজ আপনাদের জানাবো গর্ভাবস্থায় কত মাস পর্যন্ত সহবাস(Intercourse) করা উচিত? সে সম্পর্কে। গর্ভধারণ করার আগে পর্যন্ত সকল দম্পতিই সহবাস করে। কিন্তু অনেকের মনেই এই প্রশ্নটা ঘুরপাক খায় যে, গর্ভধারণ(Pregnancy) হলে কি সহবাস করা উচিত না উচিত না? অনেকেই মনে করেন গর্ভধারণ হয়ে গেলে আর সহবাস করা উচিত নয় আবার অনেক কাপল মনে করে গর্ভধারণেও সহবাস করা যায়, ভয়ের কিছু নেই! এই নিয়ে অনেকের মনেই অনেক কনফিউশন(Confusion)থাকে।

আজ আমরা এই প্রতিবেদনে জানবো যে গর্ভাবস্থায় আদৌ সহবাস(Intercourse) করা যায় কিনা? আর এই বিষয়ে ডাক্তাররা কি বলেন। আসুন দেখে নিই। বেশিরভাগ মেয়েদের মনেই এই প্রশ্নটা থাকে যে, গর্ভাবস্থায় সহবাস করা চলে কি না বা গর্ভাবস্থায় সহবাস করলে আগত শিশুর কোন ক্ষতি হয় কি না? এই বিষয়ে ডাক্তাররা বলছেন, গর্ভাবস্থায় সহবাস করা নিরাপদ(Safe) তবে সেটি প্রসব বেদনা শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত, আরেই ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে, শিশুটির উপর যেন কোন ভাবে চাপ না পড়ে। অর্থাৎ পেটের উপর চাপ দিয়ে কোনভাবেই যৌন(Sexual) মিলন করা যাবে না।এছাড়া অন্য যে কোন ভাবেই সহবাস করা যেতে পারে, বেশ কিছুদিন পর্যন্ত। কিছু নিয়ম কানুন অনুসরণ করলে কোনো প্রকার বিপত্তির সম্ভাবনা থাকে না। সহবাসের সময় স্বাভাবিক নড়াচড়া গর্ভে থাকা শিশুর কোন ক্ষতি করে না।

কারণ শিশুটি তলপেট এবং জরায়ুর শক্ত পেশী দিয়ে সুরক্ষিত থাকে। এছাড়া জরায়ুর মুখ মিউকাস প্লাগ দ্বারা সীল করা থাকে যা শিশুকে ইনফেকশনের(Infection)হাত থেকে রক্ষা করে। তাই শিশুটির কোনপ্রকার ক্ষতির সম্ভাবনাই থাকে না।তবে ডাক্তাররা জানাচ্ছেন যে, গর্ভাবস্থায় সহবাস(Intercourse) কিছু ক্ষেত্রে নিরাপদ নাও হতে পারে। তাদের মতে, যদি গর্ভধারণে কোন ধরনের জটিলতা থাকে এবং সেটি পরীক্ষায় ধরা পড়ে, বা আগের কোনবারের গর্ভধারণে কোন জটিলতার শিকার হয়ে থাকেন, তাহলে সহবাস করা একদমই উচিত নয়। ডাক্তার ও বিজ্ঞানীদের মতো কিছু কিছু ক্ষেত্রে সহবাস করা উচিত নয়। সেগুলো কি কি? আসুন দেখে নিই।

১। যমজ সন্তানঃ যদি যমজ(Twins) সন্তানের জন্ম হয়, তাহলে সহবাস করা উচিত নয়।

২। গর্ভপাতঃ যদি আগে গর্ভপাত(Abortion) করান বা এবারেও গর্ভপাত করানোর পরিকল্পনা থাকে, তাহলে গর্ভাবস্থায় সহবাস করা উচিত নয়।

৩। ইনকম্পিটেন্ট সারভিক্সঃ যদি সারভিকাল ইনকম্পিটেন্সি বা ইনকম্পিটেন্ট সারভিক্স থাকে সেক্ষেত্রে সহবাস(Intercourse) করা উচিত নয়। ইনকম্পিটেন্ট সারভিক্স বলতে বোঝায় যখন জরায়ু মুখ স্বাভাবিক সময়ের অনেক আগেই খুলে যায়।

৪। সংক্রামক ব্যাধিঃ আপনার কিংবা আপনার স্বামীর কোন প্রকার সংক্রামক ব্যাধি থাকলে গর্ভাবস্থায় শারিরীক মিলন থেকে বিরত থাকুন।

৫। প্রি-টার্ম বার্থ বা প্রি-টার্ম লেবারঃ যদি আগে প্রি-ম্যাচিউর শিশুর জন্ম দিয়ে থাকেন বা এবারের গর্ভধারণের প্রি-টার্ম লেবারের সম্ভাবনা থাকে তবে সহবাস থেকে বিরত থাকা উচিত।

এছাড়া গর্ভাবস্থায় শারিরীক মিলনের সময় যদি দেখেন যোনিপথ(Vagina) থেকে কোন তরল নির্গত হচ্ছে অস্বাভাবিক ভাবে, বা আপনি খুবই ব্যথা পাচ্ছেন বা কোন ব্যথা অনুভব করছেন, তাহলে যত তাড়াতাড়ি পারুন ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ডাক্তারের কথা মতো চলুন।

সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।