সদ্যই বিচ্ছেদ হয়েছে ভারতের অস্কারজয়ী সংগীতশিল্পী ও সুরকার এ আর রহমানের। ডিভোর্স ঘোষণা করার পর থেকে, রহমানকে নিয়ে নানা খবর ছড়িয়ে পড়েছে। তার মধ্যে সুরকারের সহশিল্পী মোহিনীর সঙ্গে পরকীয়া নিয়ে গুঞ্জন!
এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন রহমানের তিন সন্তান। এর আগে রহিমা ও খাদিজা এ বিষয়ে কথা বলেছেন। এবার পরকীয়ার গুঞ্জন প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন এ আর রহমানের ছেলে এ আর আমিন। কিন্তু বাবাকে নিয়ে পরকীয়ার গুঞ্জনে আর নরম গলায় থাকতে পারলেন না তিনি। গর্জে উঠলেন অস্কারজয়ী এই সংগীতশিল্পীর ছেলে।
একরকম সোজাসাপটা কথাই লিখলেন এ আর আমিন। ইনস্টাগ্রামে বাবার ছবি দিয়ে তার মন্তব্য, ‘আমার বাবা একজন কিংবদন্তি। শুধুমাত্র তার অনবদ্য অবদানই নয়, মূল্যবোধের জন্যেও আজ তিনি এই জায়গায় পৌঁছেছেন। বাবা ভালোবাসা এবং সম্মানও অর্জন করেছেন এত বছর ধরে। তাই সামাজিক মাধ্যমে এত রটনা, ভুয়া খবর দেখে ছড়াচ্ছে দেখে খারাপ লাগছে।
কারও জীবন সম্পর্কে কোনও অসত্য কিছু বলার আগে তার সম্মানের কথা মাথায় রাখা উচিত। তার পরম্পরার কথাও ভুলে গেলে চলবে না। তাই এধরনের মিথ্যে কথা বা ভুয়া তথ্য রটানো থেকে বিরত থাকুন। রহমানের মান-মর্যাদা এবং তার প্রভাব আমাদের ওপর পড়ার কথা ভুলে যাবেন না।’ পাশাপাশি আমিন এও স্পষ্ট করে দিলেন যে, ‘মোহিনী দে এবং এ আর রহমানের ডিভোর্সের মধ্যে কোনও যোগসূত্র নেই।’
এর আগে রহমানের দুই কন্যাও গর্জে উঠেছিলেন। নেটমাধ্যমে রহমান-মোহিনীকে নিয়ে নানা রসাল খবর চাউর হতেই সামাজিক মাধ্যমে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টে নিন্দুকদের জবাব দেন তারা।
বড় কন্যা রহিমা রহমান লিখেছেন, ‘সবসময়ে মনে রাখবেন গুঞ্জন তারাই ছড়ায় যারা হিংসা করে বা আপনাকে ঘৃণা করে। মূর্খরা সেগুলো রটায়। আর বোকারা সেই ভুয়া খবর, রটনাগুলোকে গিলতে থাকে। সত্যিই বলছি, নিজের চরকায় তেল দিন।’
বোনের সেই পোস্ট শেয়ার করেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বোন খাদিজা রহমানও। এবার তাদের ছোটভাইও নিন্দুকদের যোগ্য জবাব দিতে পিছপা হলেন না।
উল্লেখ্য, অস্কারজয়ী শিল্পীর বিচ্ছেদ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরেই টিমের সহশিল্পী গিটারবাদক মোহিনী দে ও স্বামী ম্যাকের সঙ্গে ডিভোর্স ঘোষণা করেন। এরপরই রটে যায়, রহমান-সায়রাবানুর ত্রিশ বছরের দাম্পত্য ভাঙার নেপথ্যে নাকি এই মোহিনী!
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |